* মোট যানবাহন ৩৪ * চালক রয়েছেন পাঁচজন * ভাড়া করা চালক পাঁচজন * ২৪টি গাড়ি বিশ্রামরত
অর্থভুবন ডেস্ক
সারা বাংলায় স্বক্রিয় ভূমিকায় রোডট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক(RTDN) সিস্টেম
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের গ্যারেজে পড়ে আছে যানবাহন। ছবি : কালের কণ্ঠ
৩৪টি গাড়ি। এর মধ্যে ২০টিই নতুন। সব মিলিয়ে গাড়িগুলোর দাম আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা। চালক রয়েছেন পাঁচজন (ভাড়া করা চালক আরো পাঁচজন)।
ফলে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের গ্যারেজে পড়ে থেকে ২৪টি গাড়ি নষ্ট হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের পরিদর্শন, জরুরি মেরামত ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গাড়িগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সড়কের জরুরি কাজ সারতে হচ্ছে ভাড়া করা (বাইরের) চালক দিয়ে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব মূল্যবান যানবান পড়ে থাকায় ফের নিলামের উপক্রম হয়ে যাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও গোপালগঞ্জের জন্য চালক বদলি বা নিয়োগের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে সড়ক বিভাগের ঠিকাদাররা অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করে বাইরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। এ কারণে প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যানবাহন শাখা সূত্রে জানা যায়, আগে ১৪টি গাড়ি ছিল।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০টি গাড়ি বরাদ্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে র্যাকার একটি, ওয়াটার ট্যাংকার একটি, ব্যাক হো লোডার একটি, পাঁচ টন ট্রাক পাঁচটি, তিন টন ট্রাক তিনটি, বুলডোজার একটি, এক্সকাভেটর একটি, এয়ার কম্প্রেসর একটি, রোড সুইপার একটি, বিটুমিন ডিস্ট্রিবিউটর একটি, সয়েল কম্পাক্টর একটি, পেলোডার একটি, মোটর গ্রেডার একটি ও স্টিল রোলার একটি।
ওই সূত্রে আরো জানা যায়, যে পাঁচজন চালক রয়েছেন, এর মধ্যে একজন চালান নির্বাহী প্রকৌশলীর পাজেরো, মেকানিক্যালের পরিদর্শন পিকআপ চালান একজন, প্যাথল রিপেয়ার ট্রাকের জন্য একজন এবং দুজন চালাচ্ছেন রোলার। বাকি ২৯টি গাড়ি চালানোর জন্য মাস্টাররোল বা আউটসোর্সিংয়ের কোনো চালক নেই। যে কারণে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ভাড়া করা ও অবসরে যাওয়া চালক দিয়ে চলছে পাঁচটি গাড়ি।
বাকি গাড়ি গ্যারেজে থেকেই দিন দিন পুরনো হচ্ছে।
সওজ যানবাহন শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মুক্তেষ বিশ্বাস জানান, সড়ক বিভাগে মূলত সাতজন চালক রয়েছেন। গোপালগঞ্জ জোন অফিস ও সার্কেল অফিসে কোনো চালক না থাকায় সেখানে দুজন চালক দেওয়া হয়েছে। যে কারণে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ভাড়া করা ও অবসরে যাওয়া চালক দিয়ে চলছে পাঁচটি ট্রাক ও রোলার। তিনি বলেন, ‘এই জেলায় সড়ক বিভাগের রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকাজে গাড়ি ভাড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও চালক না থাকায় ঠিকাদারদের গাড়ি ভাড়া দেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে যান্ত্রিক শাখার রাজস্ব আয় বাড়ছে না। ভারী, মাঝারি ও হালকা গাড়ির জন্য চালক থাকলে এগুলো ভাড়া দিয়ে প্রতিবছরে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।’
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত চালক ও জনবল বরাদ্দ দিলে আমাদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তাতে সব গাড়ি সচল থাকবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে।’
এ বিষয়ে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, ‘এমনিতে আমাদের চালক সংকট রয়েছে, এরপর আবার আমাদের অনেক চালক অবসরে গিয়েছেন। যে কারণে সারা দেশে চালক সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত আমরা জনবল নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’