পেটের মেদ কমাতে কে না চায়? কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে সবার পক্ষে কি আর জিম বা ইয়োগা সেন্টারে যাওয়া সম্ভব হয়? হয় না। তাই পেটের মেদ যেমন আছে, তেমনটাই রয়ে যায়। তবে একটু সময় বের করে বাড়িতে কয়েকটি ব্যায়াম করে মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। এ জন্য সারা দিনের যেকোনো সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নিজেকে দিন।
১. প্ল্যাঙ্ক
উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দুটি ভাঁজ করতে হবে। এরপর পায়ের আঙুল মাটির ওপর সোজা করে রাখতে হবে। এবার কনুই আর পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে শরীরকে সমান্তরালভাবে তুলে রাখতে হবে কিছু সময়।
২. বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ
সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো একটু ফাঁকা রেখে ভাঁজ করে দিন। হাত দুটো কোমরের নিচে বা দুই পাশে রাখুন! এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা ওপরে তুলুন। খেয়াল রাখবেন, মুখ দিয়ে ফুঁ দেওয়ার মতো করে নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং ঘাড়ে কোনো চাপ দেওয়া যাবে না। আপনি মনোযোগ দেবেন আপনার পেটের মাংসপেশিতে। ঘাড় বাঁকা করবেন না। ঘাড় সোজা থাকবে এবং আপনি তাকিয়ে থাকবেন ওপরের দিকে, অর্থাৎ সিলিংয়ের দিকে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে নিচের দিকে পা নামাবেন। এভাবে আবার ওপরে ওঠান এবং নিচের দিকে ক্রাঞ্চ করে নামান। খুব দ্রুত বা ধীরে নয়, মাঝারি একটা তালে করতে হবে। এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন।
৩. ফ্ল্যাটার কিক
ব্যায়ামটির জন্য প্রথমেই মেঝেতে শুয়ে পড়তে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন সব ভর পেটের ওপর দেওয়া থাকে। পা দুটি সোজা ও টান টান করে রাখতে হবে। হাত দুটি ভাঁজ করতে হবে এবং মাথার সামনে আনতে হবে। এখন বাঁ পা সোজা রেখে মেঝে থেকে যতটা সম্ভব ওপরে তুলে আবার নিচে নামিয়ে আনুন। এখন আগের অবস্থানে ফিরে এসে এভাবে ডান পা–কেও ওপর–নিচ করুন। এ ব্যায়ামটি ১০ বার করে করতে পারেন পা বদলিয়ে।
৪. ডাঙ্কি কিক
ওপরের দিকে দুই পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখে এবার হাফ সিটিং পজিশনে বসুন। আপনার মেরুদণ্ড ও শরীরের ওপরের ভাগ যেন সোজা থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পা দিয়ে উল্টো পজিশনে লাথি মারতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি দুই পায়েই করুন অন্তত ৩০ বার।এ ছাড়া কিছু ইয়োগা পজিশন, যেমন ঊর্ধ্বাসন ও বো পজিশন ৩০ সেকেন্ড করে করবেন। তাতে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকবে। পাশাপাশি ডায়েট মেনে চলবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন।