এবারের ব্রিকস সম্মেলনে আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পূর্ণ সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটি কার্যকর হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এবার সদস্য পদ না পাওয়ায় হতাশার কিছু নেই। আগামী দিনে বাংলাদেশ ব্রিকসে যুক্ত হতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইথিওপিয়ার মতো দেশের ব্রিকসের সদস্য হতে আমন্ত্রণ পাওয়া এবং বাংলাদেশের না পাওয়ার মূল্যায়ন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখানে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক অনেক ইস্যু আছে। এখানে ভারসাম্য করার একটা ব্যাপার আছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমাদের পাশে আরো দেশ ছিল। যারা আগ্রহী ছিল।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এবার ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘এটা প্রথম ধাপ। পরবর্তী সময়ে আরো ধাপ আসবে। আমরা আশা করছি যে পরবর্তী ধাপে আমরা সুযোগ পাব। এর মধ্যে আমরা একটু সময় পেলাম।’
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সবাই যেভাবে বলছিল, ব্রিকস জি-৭ বা পশ্চিমা অর্থনীতির বিকল্প প্ল্যাটফরম হবে। ব্যাপারটি কিন্তু এতটা সহজ না। এবার কিন্তু আমরা সে ধরনের কিছু দেখিনি। ব্রিকসের ১৫ বছরে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ছাড়া তেমন একটা চোখে পড়েনি।’
ব্রিকসে বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘জেনেভায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের যখন দেখা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, আমাদের ব্রিকস সম্মেলনে দাওয়াত দেবেন ব্রিকস প্লাসে যোগদানের জন্য। পরে আমরা সেই দাওয়াতও পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী উত্তরে বলেছেন, আমরা যাব সেখানে। আমরা ব্রিকসের ফরম্যাটে যাব।’
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হবে মিয়ানমারে, রাখাইনে দেখাবে। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু করব। কিছু কিছু দেশ ও সংস্থার আপত্তি আছে। ডিসেম্বরের আগে শুরু হবে। সচিব বলেন, মিয়ানমারের আরেকটি দল আসবে। তারা সরাসরি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে। তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছি। তবে তারা হাজারখানেক রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে পারে।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন।