অর্থভুবন প্রতিবেদক
ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এই প্রথম ফিফা নারী বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। সেমিফাইনালেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ওলগা কারমোনো। স্বাভাবিকভাবেই সিডনিতে রবিবাসরীয় ফাইনাল শেষে স্পেনের বিশ্ব জয়ের উৎসবের মধ্যমণি ছিলেন অধিনায়ক কারমোনো। জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনে সেই উচ্ছ্বাসের আবহের মধ্যে ২৩ বছর বয়সি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পান হৃদয় ভাঙা খবর। ম্যাচের আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তার বাবা। কারমোনার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে রোববার রাতে এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন জানায়, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের পর বাবার মৃত্যুর খবর জানানো হয় কারমোনোকে। এই গভীর দুঃখের সময় ওলগা ও তার পরিবারকে আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তোমাকে ভালোবাসি ওলগা, তুমিই স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাস।’ শোক প্রকাশ করেছে কারমোনোর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেলেভোর খবর, কারমোনোর বাবা মারা যান গত শুক্রবার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ফাইনালের আগে স্পেন অধিনায়ককে খবরটি না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার, যাতে তিনি ভেঙে না পড়েন এবং ফাইনালে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন। শেষ পর্যন্ত কারমোনোই ব্যবধান গড়ে দেন ফাইনালে। গোলের উদ্যাপনে জার্সি উঁচিয়ে টি শার্টে লেখা একজনের নাম দেখিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কারমোনো জানান, সম্প্রতি তার এক বন্ধুর মা মারা গেছেন। গোলটি তাকেই উৎসর্গ করেছেন। আর বিশ্বকাপ ট্রফি এক সতীর্থের প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন স্পেন অধিনায়ক। তখনো কারমোনো জানতেন না যে, তার বাবাও আর নেই। জীবনের সবচেয়ে বড় বেদনাদায়ক খবরটি জানার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রয়াত বাবাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান কারমোনো। ‘আমি জানি, অনন্য এই অর্জনের শক্তি আমাকে দিয়েছ তুমিই। জানি, আজ রাতে তুমি আমাকে দেখে গর্বিত হচ্ছো। শান্তিতে ঘুমাও বাবা,’ বলেছেন কারমোনো।