Saturday, December 7, 2024

আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি

 

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশ (আইএডব্লিউপি) অ্যাওয়ার্ড-২০২৩-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম। কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। আগামী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স থেকে তাঁর পুরস্কার গ্রহণের কথা রয়েছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্থভুবন প্রতিবেদক আমিন-আল রাজীব

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে আইএডব্লিউপি পুরস্কার পেয়েছেন। এ-সম্পর্কে জানতে চাই।
মাহমুদা: আইএডব্লিউপি, অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশ, যেটা সারা বিশ্বে নারী পুলিশদের নিয়ে কাজ করছে। সংগঠনটি অনেক পুরোনো। ১৯১৬ সালে থেকে কাজ করছে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ভিন্ন। আইএডব্লিউপির উদ্যোগে প্রতিবছর একটা কনফারেন্স হয়, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডগুলো দেওয়া হয়। এ বছর কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি মনোনীত হয়েছি। আগামী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমি সেখান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব।

 

প্রশ্ন: সোয়াত প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সোয়াত মূলত একটা বিশেষায়িত ট্রেনিং। এখানে অস্ত্র চালানোর বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়। জিম্মিদশা থেকে কাউকে কীভাবে উদ্ধার করতে হয়, কোনো একটা এলাকা কীভাবে ক্লিয়ার করতে হয়, স্পেশাল সিকিউরিটি কীভাবে বাড়াতে হয়, তা শেখানো হয় সোয়াতে। আমি ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এটি খুবই কষ্টকর প্রশিক্ষণ ছিল। এই প্রশিক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী হতে হয়—মানসিকভাবে তো অবশ্যই। সোয়াত প্রশিক্ষণের জন্য যেসব যোগ্যতা দরকার, মনে হয়েছে সেগুলো আমার মধ্যে আছে। এটা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং বিষয়, তাই আমার আগ্রহ ছিল। আমি আবেদন করেছিলাম এবং প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হয়েছিলাম।

 

প্রশ্ন: সরকারি এত চাকরি থাকতে পুলিশ হতে চেয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সবারই একটা ভালো অবস্থানে যাওয়ার আগ্রহ থাকে। বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আমি শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। আমি এমন একটা পেশায় যেতে চেয়েছি, যেখান থেকে সার্বিকভাবে সবাইকে—ধনী-গরিবনির্বিশেষে, সব স্তরের মানুষকে সেবা দিতে পারব। সেই ধারণা থেকে পুলিশ হওয়া।

প্রশ্ন: সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের বিশেষ কোনো ভূমিকা আছে বলে মনে করেন কি?
মাহমুদা: অবশ্যই। আমরা যারা বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করি, এখানে নারী-পুরুষ বলে কোনো কথা নেই। তারপরও নারী পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকা আছে। এখন আমাদের দেশে অপরাধের যে ধরন, সেটা বদলে গেছে। জঙ্গি যে কেবল পুরুষেরাই হয়, তা নয়। আজকাল নারীরাও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জঙ্গি দমনে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজন আছে।  

প্রশ্ন: পার্বত্য এলাকায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জ মনে করেন?
মাহমুদা: আসলে আমাদের প্রফেশনটা চ্যালেঞ্জের। আমি ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। তিন পার্বত্য এলাকা অবস্থানের দিক থেকে বলেন, আর দুর্গমতার দিক থেকে বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সবাই মিলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম আছি। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি–এই দুটো পার্বত্য এলাকায় আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় শুধু নারী পুলিশ সদস্যই আছেন, এমন নয়। অন্যান্য বিভাগের নারী সদস্যরাও আছেন। এটা আশার কথা যে তাঁরাও চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই নারী কর্মকর্তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছেন। একজন পুরুষ কর্মকর্তা পাহাড়ের যে দুর্গমতা মোকাবিলা করেন, একজন নারী কর্মকর্তাও সেই দুর্গমতা মোকাবিলা করে পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

spot_imgspot_img

ছবিটা তুলে রাখুন ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে : ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...

মায়ের ঘুমপাড়ানি সুর শান্তিধারা

আমাদের জোনাকজ্বলা গ্রাম বিদ্যুৎ তখনও দেখেনি। সন্ধ্যার কাছে বিকেল নতজানু হতেই সবুজ পাহাড়েরা মিশকালো হয়ে যায়। ফলে- আমরা চালের ফুটো দিয়ে চাঁদ দেখি, আর...

মাহবুবা ফারজানা নতুন তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম মাহবুবা ফারজানা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন। তাকে সচিব পদে পদোন্নতি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here