বেআইনি অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা স্থানীয় মুদ্রা লেনদেনের মাধ্যমে দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। দেশে অবস্থানকারী দেশি-বিদেশি নাগরিক এবং প্রবাসীরাও বিভিন্ন ধরনের বেআইনি ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করছেন। এর মাধ্যমে অনেক প্রবাসী তাদের অর্জিত রেমিট্যান্সের অর্থ লেনদেন করছেন। আবার অনেকে এসব মাধ্যমে লেনদেন করে দেশ থেকে টাকা পাচার করছেন। এই প্রক্রিয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুষ্ঠিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধবিষয়ক এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব বেআইনি অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে গুগল প্লে স্টোরে অনলাইন জুয়া, গেমিং, পঞ্জি, পণ্য কেনাবেচা, বেটিংসহ নানা ধরনের অ্যাপ রয়েছে। এগুলোতে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে সেগুলোতে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইট, অ্যাপস, ফেসবুক পেজ চিহ্নিত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে দুই শতাধিক বেআইনি ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। আরও যেগুলো রয়েছে সেগুলোও বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ ও বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী ও প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।