অর্থভুবন ডেস্ক
ইগো মানুষের ক্ষতিকর এক অনুভূতি। এই আত্মগর্ববোধ আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও, যেকোনো সুস্থ সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যে মুহূর্তে আমরা অন্য কারও তুলনায় নিজেদের বিচার করতে শুরু করি, তখনই আমাদের অস্তিত্ব ওই পুরো ঘটনার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। ইগো নেতিবাচক হয়ে ওঠে সেখান থেকেই। তাই যেকোনো সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ইগো কাম্য নয়। তাই ইগো সমস্যা থাকলে কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন জেনে নিন কিছু উপায়।
আপনি হয় কাউকে অনেক ভালোবাসেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনিও হয়তো তার কাছ থেকে সেরকম ভালোবাসা প্রত্যাশা করেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমনটা নাও হতে পারে। এ রকম হলে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এই নিয়ে মনে রাগ বা ক্ষোভ পুষে রাখার চেষ্টা করা বৃথা।
সামনের মানুষটি থেকে নিজে যে কদর বা সম্মান আশা করছেন, নিজেও তাকে ততটাই সম্মান করার চেষ্টা করুন। আপনার ব্যবহার প্রাথমিকভাবে কিন্তু আপনারই ব্যক্তিত্ব, চরিত্র এবং মানসিকতার পরিচায়ক, অন্য কারও নয়। এসব ক্ষেত্রে প্রতিদান আশা করবেন না।
অভিজ্ঞতায়, শিক্ষায়, বয়সে বা সম্পর্কে কেউ আপনার চেয়ে ছোট হতে পারেন বা পিছিয়ে থাকতে পারেন। তাকে তুচ্ছ করে দেখার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। সবার কাছ থেকে ভালোটা শেখার চেষ্টা করুন।
পরিবারের প্রতিটি সদস্য সম্পর্কে আপনার কাছের মানুষ হন না কেন, কিন্তু দিনশেষে প্রতিটি মানুষই আলাদা আলাদা। সেভাবেই তাকে দেখার চেষ্টা করুন। ব্যক্তি হিসেবে প্রাপ্য অধিকার বা সম্মান থেকে কাউকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা ঠিক না।
কোনো বিষয়েই জাজমেন্টাল হবেন না। এতে নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কোনো বিষয়ে অযথা বা মনগড়া যুক্তি খাড়া করালে নিজের ওপরই চাপ বাড়বে। সরাসরি জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, আপনার বোঝানোয় কোনো ত্রুটি ছিল কিনা। না হলে শুধু ফলাফলের ওপর, অর্থাৎ কথাটা যে শেষ পর্যন্ত তিনি শুনলেন, সেদিকে ফোকাস করুন। মনগড়া যুক্তির ওপর নির্ভর করে কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন না।