অর্থভুবন ডেস্ক
অনেকেই নিজের অজান্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়োসন্ধির সময় বহু ছেলেমেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় পড়ে। ইন্টারনেট অ্যাডিকশনের শিকার হতে পারেন বয়স্করাও। একাকিত্ব মেটানোর উদ্দেশ্যে বা সহানুভূতির খোঁজে অনেক পরিণত বয়সের মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় পড়নে। কীভাবে এই আসক্তি কমাবেন জেনে নিন
ক্ষতির কারণ : যে কোনো নেশার বস্তুই সাময়িকভাবে মনকে পুলকিত করলেও, শরীর এবং মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ইন্টারনেট অ্যাডিকশনও এর ব্যতিক্রম নয়। অত্যধিক ইন্টারনেটে থাকলে মস্তিষ্ককে অচল করে তুলতে পারে। বেশিক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে, মস্তিষ্কের ওয়াইট ম্যাটার বা সাদা পদার্থক তার ক্ষয় ঘটে। এই ওয়াইট ম্যাটারের পরিমাণ কমে গেলে আমাদের মানসিক ভারসাম্যের বিনাশ ঘটে। ওয়াইট ম্যাটার আমাদের আবেগ, স্মৃতিশক্তি এবং বিচক্ষণতার ক্ষমতাকে চালিত করে। এই দুটিরই বিচ্যুতি ঘটলে, জীবনে সমস্যা অনিবার্য। তা ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তির কারণে বহু ব্যক্তি অবসাদের শিকার হয়ে পড়েন। এ ছাড়া টিনএজারদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেটে নিগ্রহ বা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে।
আসক্তি কমানোর উপায় : সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়োজনের বেশি সময় কাটানোর লোভকে সংবরণ করতে হবে। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের উপস্থিতি কমিয়ে আনুন। স্টেটাস আপডেটকে প্রাধান্য না দেওয়ার চেষ্টা করুন। দরকার হলে সব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মোবাইল থেকে মুছে ফেলুন। পরিবারের কোনো সদস্যকে বা ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধুকে অ্যাকাউন্টেবিলিটি পার্টনার হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেন। এই পার্টনার আপনাকে ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। এ ছাড়া যখনই ইন্টারনেটে যাচ্ছেন তখনই সময়টা দেখে নিন। আর যখন ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন সে সময়টাও লিখে রাখুন। এভাবে দিনে যতবারই ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ততবারই লিখে রাখুন। দিন শেষে দেখে নিন কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে। এর পরের দিন এর থেকে কম সময় থাকার চেষ্টা করুন। এভাবে খাতা-কলমে লিখে লিখে সময় কমিয়ে আনতে পারেন।