ঘরেবাইরে ডেস্ক,অর্থভুবন
ভিটামিন ‘সি’তে ভরপুর একটি ফল আমলকী। গোলাকার এ ফলটি মানবদেহের জন্য গুণাবলিতে ভরপুর। দেখতে ছোট হলেও এর কার্যক্ষমতার তালিকা মোটেও ছোট নয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, চীন, কম্বোডিয়া, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা মেলে এ ফলের গাছটির। যদিও রসালো এ ফলটিতে পানির পরিমাণই বেশি, তারপরও বাকি অংশজুড়ে আছে নানা রকম খনিজ উপাদান আর ভিটামিন। এছাড়া আছে ক্যারোটিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও এন্টি-অক্সিডেন্ট। আমলকী তাই দাঁত এমনকি মাড়ির সুস্থতায় বেশ কার্যকর। এছাড়া যাদের মুখের রুচির সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখতে পারেন আমলকী। এতে মুখের রুচি যেমন বাড়ে তেমনি মুখের বাজে গন্ধ থেকেও পরিত্রাণ মেলে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল আমলকী। এছাড়া মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বাড়াতেও আমলকীর জুড়ি নেই। এর বাইরে যাদের অম্ল, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা, মাথাব্যথা, বমি ভাব এ জাতীয় সমস্যা আছে তাদের সুস্থতায় আমলকী দ্রুত কাজ করে। অন্যদিকে ঋতু চক্রের পালা বদলে ঠান্ডা সর্দি কাশির সমস্যা চারপাশে। এ সময় আমলকী ঠান্ডা, সর্দি থেকে সুরক্ষা দেয় পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে দীর্ঘ সময়জুড়ে তারা প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকী খাবার পরে খেতে পারেন। এর বাইরে চুলের যত্নে আমলকীর তেল চুল পড়া থেকে শুরু করে খুশকির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে। মূলত এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজাতে সহয়তা করে। অনেকেই তেলের সঙ্গে আমলকী চূর্ণ করে কিংবা আমলকী সেদ্ধ পানি চুলে অ্যাপ্লাই করেন। শুধু ত্বকের ভেতরে না বাইরে থেকে ত্বকের সমস্যা যেমন চর্মরোগ সারিয়ে তুলতেও আমলকীর তুলনা নেই। তাই প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার অভ্যাস করুন আর নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করুন।