অর্থভুবন প্রতিবেদক
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, বিষণœতা কাটানোর সহজ সমাধান হলো কাজের মধ্যে ডুবে থাকা। দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাজের মধ্যে থাকলে ডিপ্রেশন কাটাবেন দ্রুত। বিষণ্ণতা কাটাতে যা করবেন
জেনে নিন দুঃখ, হতাশা, শোক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু দীর্ঘদিন দুঃখ, হতাশা, শোক এই অবস্থার মধ্যে থাকতে থাকতে আপনি হয়তো ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে যেতে পারেন। তাই, দুঃখ-হতাশা থেকে বেরুনোর একমাত্র দাওয়াই হলো কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। প্রিয়জন বিয়োগের পর ক’দিন নিজেকে একটু গুছিয়ে নেওয়ার সময় দিন। কিন্তু তারপরে দীর্ঘদিন নিজেকে কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। অফিসে এসে প্রথম প্রথম কাজে মন বসানো একটু কঠিন। তাই, প্রথম দিকটায় একটু হালকা রাখুন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা আপনাকে অনেকটাই স্বাভাবিক করে তুলবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন, মিটিং, ফাইল ঘাঁটাঘাঁটির কাজগুলো দুদিন পরেই না হয় করুন। তবে একটু ধাতস্থ হয়ে গেলেই এরপর নিজেকে যতটা সম্ভব কাজে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়টায় প্রয়োজন না হলে অফিস থেকে খুব একটা ছুটি নেবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার তাড়া থাকলে ‘কিচ্ছু ভালো লাগছে না’ গোছের চিন্তাভাবনা মাথায় কম আসবে। সারা দিন কাজের ফাঁকেও লাঞ্চ বা টি-ব্রেক নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। পজিটিভ আলোচনা করবেন। খুব বেশি স্মৃতিচারণা এড়িয়ে চলুন। পুরনো কথা মনে পড়লে তা সবসময় সুখকর নাও হতে পারে। বাড়িতে থাকলেও অফিসের টুকটাক কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন। ধরুন, কোনো প্রজেক্ট পরের সপ্তাহে জমা দিতে হবে। আপনি আগেভাগেই সেই কাজ সময়মতো করে রাখলেন। এতে বাড়িতে থাকার সময়টাও একাকী বা ডিপ্রেসড লাগবে না। একাকিত্ব এড়িয়ে চলুন। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে যান। সময় সুযোগ নিয়ে সবাই মিলে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যেতেও পারেন। মোটের ওপর, জীবনের এই কঠিন সময় থেকে বেরুনোর উপায় একটাই। আর তা হলো কাজে ব্যস্ত থাকা।