অর্থভুবন প্রতিবেদক
দেহের জন্য প্রয়োজনীয় দুই ভিটামিন হলো সি ও ডি। এই দুই ভিটামিন কোন খাবারে আছে জেনে নিন।
ভিটামিন সি : ডায়েট চার্টে থাকা চাই ভিটামিন সি। সবুজ শাকসবজি এবং তাজা ফলে ভিটামিন সি পাবেন। রোজকার খাবারে শাকসবজি রাখা উচিত। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বাড়ায় ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মাসেল পেইন বা ওয়াক আউটের পর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। দিনে কমপক্ষে ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি জরুরি। গবেষনা অনুযায়ী দেহে ভিটামিন সি-এর সুষম অনুপাত হলো ২০০০ মিলিগ্রাম।
খাবার : ভিটামিন সি-তে আছে কাঁচা পেয়ারা (৩৭৭ মিলি গ্রাম), টমেটো জুস (১৭০ মিলিগ্রাম), কমলালেবুর রস (১২৪ মিলিগ্রাম), কাঁচা মরিচ (১০৯ মিলি গ্রাম), ব্রকলি (৮১.২ মিলিগ্রাম), কিউই (৬৪ মিলিগ্রাম), ফুলকপি (৫১.৬ মিলিগ্রাম), আঙুর (৩৯ মিলিগ্রাম), স্ট্রবেরি (৯৭.৬ মিলিগ্রাম), পেঁপে (৯৫.৬ মিলিগ্রাম) ও যে কোনো শাক।
ভিটামিন ডি : সাধারণভাবে সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর বড় উৎস। গায়ে রোদ না লাগানোর কারণেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ত্বকের মেলানিন সৃষ্টিতে এই ভিটামিন খুব কার্যকর। শরীরে ভিটামিন ডি বাড়াতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডায়েট লিস্টে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেতে পারে। কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাবেন তা চিকিৎসকের পরামর্শেই স্থির করুন। দিনের একটা সময় রাখুন যখন খোলা আকাশের নিচে কাটাবেন। সেটা হতেই পারে মর্নিং ওয়াক বা জগিংয়ের অ্যাক্টিভিটি। সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি অনেকটাই কমে। খোলামেলা স্থানে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ মনকে উজ্জীবিত করে। বডি মুভমেন্টের সময় এন্ডোর্ফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ‘হ্যাপি হরমোন’ নামেও পরিচিত। ব্যথা বেদনা উপশম, স্ট্রেস হ্রাস ও মেজাজ শান্ত রাখতে এই হরমোনের ভূমিকা অনেক।
খাবার : ভিটামিন ডি-তে ভরপুর সলোমন মাছ (৬৬ মিলিগ্রাম), কড লিভার অয়েল (৫৬ মিলিগ্রাম), ঘরে পাতা দই (২৫ মিলিগ্রাম), মাশরুম (১৭ মিলিগ্রাম), দুধ (১৫ মিলিগ্রাম), হোল গ্রেইন দানাশস্য, ডিম (৩৭ মিলিগ্রাম) ও যে কোনো সামুদ্রিক মাছ।