অর্থভুবন প্রতিবেদক
উপহার মানুষকে আনন্দিত করে। সম্পর্ক মজবুত করে। তাই মুমিনের উচিত মাঝেমধ্যে উপহার আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের ভাতৃত্বের বন্ধন শক্ত করা। আমাদের নবীজি (সা.)-ও সাহাবায়ে কেরামকে উপহার আদান-প্রদানের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন।
আর আল্লাহর জন্য পারস্পরিক মহব্বত/ভালোবাসা সৃষ্টি করাও ইবাদত। যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অপরের সঙ্গে মহব্বত রাখে, আল্লাহ তাদের ওপর খুশি হন। তাদের ভালোবাসেন।
কেউ হাদিয়া দিলে নবীজি (সা.)-ও তাকে প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করতেন। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং তার প্রতিদানও দিতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৫৮৫)
তবে নবীজি (সা.) সদকা কখনোই গ্রহণ করতেন না।
তাই যাদের মহান আল্লাহ সচ্ছলতা দিয়েছেন, যারা জাকাত ইত্যাদি খাওয়ার উপযুক্ত নয়, তারাও যদি টের পায় যে কেউ তাকে সদকার জিনিস দিচ্ছে, তাহলে তার জন্য নিষেধ করার সুযোগ আছে। অন্যথায় সুন্নতের নিয়তে হাদিয়া গ্রহণ করতে পারে, হাদিয়া দাতাকে এর প্রতিদান দিয়ে দিতে পারে। এমনিভাবে কেউ দাওয়াত দিলেও তা গ্রহণ করা সুন্নত। যদি তার অর্থ-সম্পদ হারাম না হয়। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা দাওয়াত দানকারীর ডাকে সাড়া দিয়ো, উপহারাদি ফেরত দিয়ো না এবং মুসলিমদের প্রহার করো না।’ (মুসনাদ আহমাদ ও ইবনে হিব্বান)
কিছু জিনিস এমন আছে, এগুলো কেউ নবীজি (সা.)-কে হাদিয়া দিলে তিনি প্রত্যাখ্যান করতেন না। ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি বস্তু প্রত্যাখ্যান করা যায় না : (১) বালিশ, (২) সুগন্ধি, (৩) দুধ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৯০)
তাই কেউ যদি এই জিনিসগুলো হাদিয়া হিসেবে দিতে চায়, তাহলে নবীজি (সা.)-এর সুন্নতের নিয়তে এগুলো সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করা যেতে পারে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন