অর্থভুবন ডেস্ক
মানবসভ্যতার বিকাশে তেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও পরবর্তী সময়ে এটি পরিবেশের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্সনমোবিলসহ বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলো তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব জানলেও তারা এর পক্ষে মিথ্যা প্রচারণা চালায় এবং বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলে।
অর্থনীতির ভিত্তি
পাঁচ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করছে মানুষ। যদিও বিজ্ঞানী মহল দাবি করে, তেল ব্যবহার শুরু হয় আধুনিক মানুষ পৃথিবীতে পদার্পণের আগে থেকে। যুদ্ধ থেকে শুরু করে রান্নাবান্নাসহ নানা কাজে মানুষ তেল ব্যবহার করে আসছে। তবে বিংশ শতাব্দীতেই প্রথম পরিশোধিত তেলকে শিল্পে পরিণত করা হয়। শিল্প বিপ্লবে তেল অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে বৈশ্বিক সংঘাত উসকে দেয়। মরুভূমির বুকে অর্থনীতি দাঁড় করায়। শুরু থেকেই তেল ছিল বিতর্কিত সম্পদ। জলবায়ু সংকটে ভূমিকা রাখায় গত কয়েক দশক ধরে তেল নিয়ে কম সমালোচনা হচ্ছে না। বৃহৎ তেল কোম্পানিগুলোকে মূলত এর জন্য দায়ী করা হয়। ২০২০ সালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ১৯৬৫ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ২০ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি ৩৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তেলকূপ খনন করলে যে পরিবেশগত ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা ১৯৫৫ সালে তেল কোম্পানিগুলোর নির্বাহীরা জানতেন কিন্তু তারা এই তথ্য জনগণের কাছে গোপন রাখেন। মানুষ যখন পরিবেশের ওপর তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের নেতিবাচক প্রভাব জানতে পারল, তখন থেকে তারা জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প গ্রিন এনার্জি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে। নানা কারণে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে গ্রিন এনার্জিতে রূপান্তরের গতি অত্যন্ত ধীর। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্টিভিস্ট রালফ নেইডার মজা করে বলেন, ‘সৌরশক্তি এখন পর্যন্ত সেভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ তেল কোম্পানিগুলো সূর্যের মালিক হতে পারছে না।’
পরিশোধিত তেলের উদ্ভব
প্রাচীন আমলে যুদ্ধক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিটুমিন অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম অ্যান্টিকুইটি বইয়ে ইতিহাসবিদ আর জে ফোর্বস লেখেন, ‘সপ্তম শতাব্দী থেকে তেল ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের সিদ্ধান্তমূলক অংশ। বাইজেন্টাইনরা এটিকে গ্রিক আগুন হিসেবে অভিহিত করতেন।’ আরব ও পারস্যের রসায়নবিদরা দাহ্য পদার্থ তৈরি করতে পাতিত তেল ব্যবহার করতেন। ইসলামিক স্পেন সম্প্রসারণের একপর্যায়ে দ্বাদশ শতাব্দীতে এই তেল পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছায়। এই তেলের সমস্যা ছিল। এটি অনেক বেশি উদ্বায়ী। সহজে আগুন ধরাতে পারে। নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত পাতিত তেল ছিল আলোর প্রধান উৎস। তবে শিগগিরই এটির জায়গা দখল করে আরও সস্তা, নিরাপদ ও সুলভ বিকল্প।
পরিশোধিত তেলের আগে তিমি মাছের তেল দিয়ে আলো জ্বালানো হতো। শুরুর দিকে বহুজাতিক ব্যবসার একটি ছিল তিমি মাছ। ১৮৫১ সালে মবি ডিক উপন্যাস প্রকাশ হওয়ার পর উচ্চাকাক্সক্ষী তরুণরা তিমি তেলের ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৫৩ সালে আমেরিকা উপকূলে আট হাজার তিমি মাছ মারা হয়। তাদের তেল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। তিমি তেলের চাহিদা বাড়তে থাকলে এই মাছ শিকারের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। ফলে সাগরে তিমি মাছের সংখ্যা কমতে শুরু করে। তিমি শিল্পের পাশাপাশি তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠা অব্যাহত থাকে।
১৭৪৫ সালে রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী এলিজাভেতা পেত্রোভনার সময় দেশটির উখতা শহরে প্রথম তেলকূপ খনন ও শোধনাগার নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন রুশ নাগরিক ফিওদর প্রিয়াদুনভ। তিনি শিলা তেল থেকে কেরোসিনের মতো একটি পদার্থ উৎপাদন করেন, যা প্রদীপে ব্যবহার করা হতো। ঊনবিংশ শতাব্দীতে অপরিশোধিত তেল থেকে প্যারাফিন উৎপাদন পেট্রোলিয়ামের আধুনিক ইতিহাসের সূত্রপাত ঘটায়। স্কটল্যান্ডের রসায়নবিদ জেমস ইয়ং ১৮৪৭ সালে ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারে প্রাকৃতিক পেট্রোলিয়ামের সন্ধান পান। তিনি পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই তেল থেকে পাতলা ও হালকা তেল তৈরি করেন, যা তেলের প্রদীপে ব্যবহার করা হতো। একই সঙ্গে জেমস ইয়ং পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘন তেলও তৈরি করেন। এই তেল লুব্রিকেটিং যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা হতো। এর এক দশকের কম সময়ের মধ্যে আমেরিকান তেলের জনক হিসেবে বিবেচিত জর্জ বিসেল জানতে পারেন, মাটি থেকে লবণ পেতে যে ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয়, সেই একই মেশিন দিয়ে তিনি তেলও উত্তোলন করতে পারবেন। নোবেলজয়ী মার্কিন লেখক ড্যানিয়েল ইয়ারগিন তার দ্য প্রাইজ : দ্য এপিক কোয়েস্ট ফর অয়েল, মানি অ্যান্ড পাওয়ারের এক জায়গায় লিখেছেন, ‘মানুষ রাতারাতি রাতকে দূরে সরানোর ক্ষমতা পেয়ে যায়।’ জর্জ বিসেল যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পশ্চিমে প্রথম তেল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানি সফল হতে বেশি সময় নেয়নি। ১৮৬০ সালে ওই কোম্পানি থেকে সাড়ে চার লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হয়। এর ঠিক দুবছর পর ১৮৬২ সালে কোম্পানিটি ৩০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনে সক্ষম হয়। লেখক ড্যানিয়েল ইয়ারগিনের মতে, ‘তেলের জন্য প্রতিযোগিতার শুরুতে শেষ ফোঁটা পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হতো। তেল ক্ষেত্রের মালিকরা একটি পুল ভাগাভাগি করতেন। তারা সেখান থেকে ইচ্ছামতো তেল উত্তোলন করতেন। এর ফলে পাশের তেলের পুলে তেলের পরিমাণ কমে যেত। তেলক্ষেত্রের মালিকরা এ কারণে তীব্র প্রতিযোগিতায় নামতেন। কত বেশি ও কত দ্রুত তেল উত্তোলন করা যায়, সেদিকেই জোর দিতেন তারা।’
তেল উত্তোলনে অনেক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এটির অপার সম্ভাবনা মানুষকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন জন ডেভিসন রকফেলার। তিনি স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের প্রতিষ্ঠাতা। তাকে তেলের রাজাও বলা হয়। তেল পরিশোধনকে বিশাল শিল্পে পরিণত করার সিদ্ধান্ত তিনিই নিয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্ত তাকে অভূতপূর্ণ সাফল্য এনে দেয়। ১৮৭৯ সালের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধন ক্ষমতার ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বলতে গেলে দেশটির সব পাইপলাইন ও পরিবহন সংযোগও তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
আন্তর্জাতিক বাজার
কেরোসিন অতি মাত্রায় দাহ্য পদার্থ হওয়ায় শুরুর দিকে নাবিকরা এটি বহন করতে ভয় পেতেন। ১৮৬১ সালে প্রথম পেট্রোলিয়ামের একটি কার্গো জাহাজ লন্ডনে নিরাপদে পৌঁছায়। তেলের বৈশ্বিক বাণিজ্যের পথ এরপরই মসৃণ হয়। অল্প সময়ের মধ্যে রাশিয়া আমেরিকান তেলের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়। তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রাশিয়ার কর্মদিবসের ওপর প্রভাব ফেলে। এর আগে শীতকালে দিনের আলোয় রুশরা ছয় ঘণ্টা কাজ করতে পারতেন। সন্ধ্যার পর আলো জ্বালিয়ে শ্রমিকদের কাজ করানোর সুযোগ লুফে নেন রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা। ১৮৭৫ সালের মধ্যে দেশটি আমেরিকান তেলের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যে, রুশ সাম্রাজ্য তেলের ওপর তাদের একচেটিয়া ব্যবস্থা বাতিল করে এবং তেলসমৃদ্ধ ককেশাসকে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। ১৮৭৪ সালে রাশিয়া ছয় লাখ ব্যারেলের কম তেল উৎপাদন করত। এক দশক পর তাদের তেল উৎপাদন বেড়ে ১ কোটি ৮ লাখ ব্যারেলে দাঁড়ায়। ১৮৮০ সালের শুরুর দিকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে প্রায় ২০০ তেল শোধনাগার পরিচালনা করা হয়। ইউরোপে প্রথম ও প্রধান তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাকুতেই।
রাশিয়ার নিজস্ব তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে মার্কিন কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের সঙ্গে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। স্ট্যান্ডার্ড অয়েল স্বভাবতই তাদের কর্র্তৃত্ব ধরে রাখতে চাইছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কোম্পানিগুলো সে সময় তাদের তেলের বাজার সম্প্রসারণের ওপর জোর দেয়। গোটা পরিস্থিতি তেলের জন্য যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। ১৮৯০ সালের দিকে মার্কিন তেল কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল, জার্মান কোম্পানি রথসচাইল্ড ও রুশ কোম্পানি নোবেল ব্রাদার্স পেট্রোলিয়ামÑ এই তিন কোম্পানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে নামে।
ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম ডারসি পারস্য সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হন, তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হলে তিনি কম টাকায় কাজ করবেন। ১৯০১ সালে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়। ডারসির প্রাথমিক উদ্যোগ সফল হয়নি। তিনি তখন ব্রিটিশ সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ তেল কোম্পানি বারমাহ অয়েল ডারসিকে আর্থিক সহযোগিতা করে। পরে বারমাহ অয়েলের নাম পরিবর্তন করে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) রাখা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণে তেল মজুদের সম্ভাবনা দেখে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় নামলেও মূলত পঞ্চাশের দশকে ওই অঞ্চলে তেল উৎপাদন শুরু হয়। পঞ্চাশের দশকে মধ্যপ্রাচ্য যখন তেলকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে উপলব্ধি করতে পারে, তখনই ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে। ১৯৫৬ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের সুয়েল খালকে জাতীয়করণ করার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সংকট সৃষ্টি হলে (যা সুয়েজ সংকট নামে পরিচিত) ব্রিটেন প্রথম ওই ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের প্রভাব টের পায়। ওই সময় মধ্যপ্রাচ্য থেকে সুয়েজ খাল হয়ে ব্রিটেনে তেল রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিলে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) পশ্চিমা দেশগুলোকে তেল না দেওয়ার আহ্বান জানায়।
মিথ্যা প্রচারণা
পঞ্চাশের দশকে জীবাশ্ম জ¦ালানি নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা জানতেন, কার্বন নিঃসরণ পৃথিবীকে উষ্ণ করে তুলবে। মার্কিন বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সনমোবিলের অভ্যন্তরীণ এক নথি সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হয়। নথিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। কিন্তু কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে তারা বৈজ্ঞানিক বাস্তবতাকে গোপন রাখতে প্রতারণামূলক প্রচারণার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী জন কুক এক প্রতিবেদনে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনে তেলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে, এ বিষয়ে সেই আশির দশকে বিজ্ঞানীরা একমত পোষণ করেছিলেন। অথচ গত কয়েক দশক ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে প্রকৃত সত্য গোপন করে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্রতা সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালায়। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি করলেও তাদের তা রাখতে দেখা যায় না। তাদের অর্থহীন প্রতিশ্রুতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ১৭তম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধি রোহিত খান্না বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো মূলত বলতে চাইছে, ‘আমরা উৎপাদন বাড়াব, কার্বন নিঃসরণও কমাব না, তবে আমরা দাবি করব, আমরা গ্রিন এনার্জির পক্ষে, কারণ আমরা কিছু প্রতীকী পদক্ষেপ নিয়েছি, যা দেখলে মনে হবে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি।’ এর চেয়ে হাস্যকর বিষয় হয় না।”