অর্থভুবন ডেস্ক
দীর্ঘদিন ডায়েটিং করার ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। ছেলেদের মধ্যেও হরমোনাল ইমব্যালেন্স দেখা দেয়। কম পরিমাণে ফ্যাট বা প্রোটিন খেলে হরমোন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। মেটাবলিজমের গতি কমে যায়। অর্থাৎ এনার্জি বার্ন হয় না। এর ফলে ওজন বাড়তেই থাকে। তাই আপনি ডায়েট করেন ঠিকই, কিন্তু কীভাবে করবেন তাও জানা থাকা জরুরি।
যা করছেন : সকালে হয়তো গরম পানিতে মধু আর লেবু খান। অথচ দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি বা চা-এ চিনি খেয়ে ফেলেন। বা ফলের রস, কোমল পানীয় মাঝে মধ্যেই চলে। আপনার মনে হচ্ছে আপনি হয়তো চিনি খাচ্ছেন না, কিন্তু চিনি যে পান করছেন, সেদিকে কী খেয়াল নেই। ডায়েট ফুডও কিন্তু খারাপ হতে পারে। ডায়েট ফুড হাই ক্যালরি ফ্যাটকে লো ক্যালরি কার্বোহাইড্রেট দিয়ে রিপ্লেস করে। এতে ক্রেভিং বেড়ে যায়। ফলে বেশি পরিমাণে খেতে ইচ্ছা করে। ফল ডায়েট হচ্ছে না। টিভি দেখতে দেখতে বা কম্পিউটারে কাজ করতে করতে কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন, তার কোনো হুঁশ থাকে না। ফলে পরিমাণের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। আর ওজনও তাই তার নিজের মতো বেড়ে চলে। যে কোনো ধরনের স্ট্রেসেই হাই ক্যালরি খাবার খেতে ইচ্ছা করে। হাই ক্যালরি খাবার খেলে মন শান্ত হয় ঠিকই, কিন্তু শরীরে মেদ লাগতে সময় লাগে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে গ্রোথ হরমোনের পরিমাণে কম যায়। এর প্রভাব অ্যাপেটাটইটে পড়ে। না ঘুমিয়ে রাত জেগে ফেসবুক করা বা সিনেমা দেখা যে কতটা ক্ষতিকারক, তা অনেকেই জানেন না।
যা করবেন : ফুড জার্নাল মেন্টেন করুন। ক্যালরি আর কার্ব কী খাচ্ছেন কতটা খাচ্ছেন জানা জরুরি। উইকএন্ডে জাঙ্ক ফুড খেতে চাইলে সারা সপ্তাহ হিসাব করে হেলদি খাবার খান। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিন, আলকোহল থেকেও দূরে থাকুন। টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্ব খান। লো ফ্যাট ডায়েট করবেন না। যদি নিজের ওপর ভরসা করতে না পারেন তাহলে ডায়েটিশিয়ান আর ফিটনেসের ট্রেনারের সাহায্য নিতে পারেন।