অর্থভুবন ডেস্ক
সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণের ওপর নিয়মিত সুদের সঙ্গে প্রতি বছর একবার ‘সুপারভিশন’ চার্জের নামে যে এক শতাংশ হারে অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে তা বাতিল ও কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত না দিলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
৯ শতাংশ সুদহার তুলে দিয়ে ছয় মাসের স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণে অতিরিক্ত এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যুক্ত করতে পারবে ব্যাংক।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এক দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণ সীমার ওপর এক শতাংশ হারে সুপারভিশন চার্জ কর্তন করা হচ্ছে। এতে ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সীমা পর্যন্ত সিএমএসএমই খাত ধরা হয়। যার ওপর এক শতাংশ করে কর্তন করা হলে প্রতি বছর ৭৫ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতার অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা কর্তন করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ব্যবসায়ীদের ঋণখেলাপি ও ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে। যা ব্যবসায়ীদের ওপর মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।