অর্থভুবন প্রতিবেদক
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘ফ্রেশারস ক্যারিয়ার ফেয়ার’ নামে চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশের সবচেয়ে বড় চাকরি খোঁজা অনলাইন সাইট বিডিজবস ডটকম। এতে ১৭০টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ২০ হাজার চাকরিপ্রার্থী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আইসিসিবির ৪ নম্বর হল কানায় কানায় পূর্ণ চাকরিপ্রার্থী।
তাঁদের একজন শামিম উদ্দিন। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে এসেছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। এই যোগ্যতায় চাকরি না পাওয়া গেলেও তিনি হতাশ নন।
জুরাইন থেকে এসেছেন মেহেরিন ইসলাম। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। পাঁচটি কম্পানিতে আবেদনও করেছি।
চাকরিদাতা কম্পানিগুলোর মধ্যে দেখা গেল প্রাণ গ্রুপ, এসিআই, বেঙ্গল গ্রুপ, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, মেট্রোসেম, হ্যামকো, গুডনেইবার্স, শক্তি ফাউন্ডেশন, পপুলার ফার্মা ইত্যাদি। এ ছাড়া দক্ষতা বাড়ানোর বিভিন্ন ট্রেনিং দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০ মিনিট স্কুল, ইশিখন ডটকম ইত্যাদি। কম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা জানালেন, নতুন চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা হয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল, পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি।
কি ধরনের দক্ষতা চাচ্ছেন জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এইচআর বিভাগের সহকারী ম্যানেজার মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের বেশি ইচ্ছা ঢাকাভিত্তিক চাকরি করা। আসলে বেশির ভাগ কম্পানির চাকরি ঢাকার বাইরে। তো শুরুতেই চাকরি দেশের যেকোনো স্থানে করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। স্নাতক শেষ করে আমাদের যে পদেই নেওয়া হোক না কেন তাদের বেতন ১৮ হাজার টাকা। ছয় মাস পর তিন-চার হাজার টাকা বাড়ে। দক্ষতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কম্পানি বেতন দেবে কাজের জন্য। কেউ যদি কাজ না করতে পারেন তাহলে তাঁকে কেন টাকা দেবে। অনেকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয়গুলোও বলতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক ভালো ফলাফলের সঙ্গে থাকতে হবে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা। এই দক্ষতা যাঁদের থাকে তাঁরা বড় পদে যেতে পারেন এর চেয়ে বেশি বেতনে। যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়েছেন তাঁদের বিষয়ভিত্তিক টুলসগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে খুবই সহজে চাকরি পাবেন।
ফ্রেশারস ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজনের সমন্বয়ক ও বিডিজবসের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (প্রগ্রাম) মোহাম্মাদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘আমরা যেহেতু চাকরিদাতাদের সঙ্গে কাজ করি, সে জন্য তাঁদের বলেছি, যারা একদম নতুন তাদের জন্য যে পদ সেটা নিয়ে আসার জন্য। ফ্রেশারদের জন্য যে আসলেই চাকরি আছে, সেটা তুলে ধরার জন্য। একই সঙ্গে কম্পানির সঙ্গে যখন চাকরিপ্রার্থীরা কথা বলবেন তখন তাঁদের কোন কোন জায়গায় দক্ষ হতে হবে সেটা যেন কম্পানিগুলো গাইড করতে পারে। এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রার্থীরা যেমন চাকরির জন্য আসবেন, তাঁরা কম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারবেন যে তাঁদের কোন কোন জায়গায় দক্ষ হতে হবে। যাতে করে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে আনা যায়।