জাবি সংবাদদাতা,অর্থভুবন
উদ্যোগটা প্রথম নেওয়া হয় ২০০৮ সালে। ওই সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে যে শিশুরা চা, বাদাম, চিপস ফেরি করে বিক্রি করত, তারা টাকার হিসাব করতে পারত না। ওই শিশুদের টাকার হিসাব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সুন্দর করে কথা বলা শেখানোর উদ্যোগ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শুরুটা হয়েছিল দুই-তিনজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে।
বর্তমানে এই সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০। খোলা আকাশের নিচে এই শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে দেখা গেল, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের একটি দল গোল হয়ে বসে আছে খোলা আকাশের নিচে। সবার হাতে বই-খাতা।
দলটির মাঝখানে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। পরম যত্নে সেখানে শিশুদের দেওয়া হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্কের প্রাথমিক জ্ঞান। অবকাঠামো না থাকলেও শিক্ষার্থীরা এই পাঠদান প্রক্রিয়ার নাম দিয়েছেন তরী স্কুল। শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে পাঠদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তরী স্কুলের শিক্ষার্থী সিফাত। বয়স আট। বাবা নেই। মা আর ছোট দুই ভাই নিয়ে কষ্টের সংসার। পরিবারে আয়-উপার্জনের অন্য কেউ না থাকায় তাকেই কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে সংসারের ভার।