নিজস্ব প্রতিবেদক,অর্থভুবন
মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয় খুবই কম। এমনকি প্রতিযোগী অনেক দেশের রপ্তানি-জিডিপি অনুপাতের চেয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। এ দেশের অর্থনীতির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা ও স্বল্পোন্নত
দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রধান (কান্ট্রি ডিরেক্টর) আবদুলায়ে সেক গতকাল সোমবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) বা মেট্রো চেম্বারের মধ্যাহ্নভোজ সভায় এসব কথা বলেন। মেট্রো চেম্বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের আকার ছিল প্রায় ৪৪ লাখ কোটি টাকা। আর ওই বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ডলারের গড় বিনিময়মূল্য ৯৯ দশমিক ৮৪৫ পয়সা ধরে)। সেই হিসাবে দেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ১৩ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশই একক খাতনির্ভর। গত অর্থবছর শেষে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় সাড়ে ৮৪ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক খাতের। এ কারণে রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার প্রতি জোর দেন বিশ্বব্যাংক–প্রধান। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ দেশের অর্থনীতিতে বদলেরও সম্ভাবনা তৈরি করবে।
স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআই সভাপতি সায়ফুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীদার। সবচেয়ে পুরোনো চেম্বার হিসেবে এমসিসিআই এ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।