অর্থভুবন ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণখান মৌজায় পুলিশের সহযোগিতায় জমি দখল চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা চলাকালে আজ রোববার সকালে আবারও পুলিশের উপস্থিতিতে জমি দখলের চেষ্টা করা হয়।
মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কয়েক দফায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে বিবাদীদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ১৯৯৪ সালে ক্রয়সূত্রে পৌনে ৭৯ শতাংশ জমি নামজারি জমাভাগ করে প্রায় ২৯ বছর ধরে ভোগদখল করছেন তিনি। ওই জমি বর্তমানে রেলপথের ঢাকা–টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল লাইন এবং টঙ্গী–জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ লাইন প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এফকনস–কেপিটিটু জেভি কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ভাড়াটিয়া জমিতে গোডাউন নির্মাণ করে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ওই জমি নিজের দাবি করে নাছির মোল্লা ও তাঁর স্বজনেরা থানার ওসির সহযোগিতায় বাদীকে জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
গত ২১ জুলাই দলবল ও পুলিশ নিয়ে আসামিরা জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। থানার ওসির বাধার কারণে ওই বিদেশি কোম্পানি জমির মালিককে বর্তমানে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদী হাজী আব্দুল লতিফের ছেলে মিয়া হোসেন রানা অভিযোগ করেন, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় রোববার সকালে থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলামসহ অন্য আসামিরা জমিটি দখলের চেষ্টা করেছেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের কাছে রক্ষিত আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম জমি দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। জমির সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমাছ মোল্লা ফোন করে আমাকে সেখানে নিয়েছেন। আমি সেখানে যেতে চাইনি।’ জমি দখলের ঘটনায় তাঁকে মামলায় পক্ষভুক্ত করা প্রসঙ্গে জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে ভুল বুঝে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমাছ মোল্লা বলেন, ‘আমি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একপক্ষ মানেনি। হাজী আব্দুল লতিফ প্রায় ৩০ বছর ধরে জমিটি দখল করে আছেন।’
অন্যদিকে মামলার বিবাদী (নাছির মোল্লা) পক্ষের আইনজীবী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ জমিতে হাজী আব্দুল লতিফের মালিকানার দাবি সঠিক নয়। নাছির মোল্লাদের নামে হাল সন পর্যন্ত ডিজিটাল খাজনা–খারিজ করা আছে। আমরা মামলায় পক্ষ হয়েছি। আদালতে জবাব দেব।’