অর্থভুবন প্রতিবেদক
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহের কথা জানান। সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে, বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। এ বিষয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ পরামর্শ সভা হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য পরিবহন সম্ভব।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে, তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আমরা আরো সামনে এগিয়ে নিতে পারি। দুই দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোয় আরো শক্তিশালী হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের গুণগত উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও ঢাকা মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে এ সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করছি। এ খাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে। দুই দেশের মধ্যে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি সহযোগিতাও বিনিময় হতে পারে। আশা করি, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও বিনিয়োগের পরিধি আরো বাড়বে।’
এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলেও জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী।