স্টাফ রিপোর্টার অর্থভুবন: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েট থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বিটু ক্লাসে অংশ নেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বুয়েটের ভিসি অফিসের (প্রশাসনিক ভবন) সামনে অবস্থান নেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বুয়েট ভিসি অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চারজনের একটি প্রতিনিধি দল বুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বুয়েট ভিসি অফিসের সামনে থেকে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান নেন।
ভিসি অফিস থেকে বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বললেও। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর তারা জানান, এখনও নিজেদের মধ্যে কথা বলবেন, আর সেখানে প্রেস এলাউ না।
এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না’, ‘হত্যাকারীর ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না’, ‘আবারার ফাহাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘বিটু আবার ক্লাসে গেলে, ক্লাসে ফিরে যাবো না’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা ‘আশিকুল ইসলাম বিটুর আজীবন বহিষ্কার চাই’সহ বিভিন্ন দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেউই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষার্থীদের কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেম আশিকুল ইসলাম বিটু। ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার প্রায় দেড় মাস পরে ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে নোটিশ দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। সে নোটিশে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বিটুর নামও ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত রোববার তাকে পুনরায় কেমিকৌশল এর ১৯তম ব্যাচের সঙ্গে ক্লাসে দেখা যায়। এর আগেও সে ২০২১ সালে মে মাসে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে বিভাগের মাধ্যমে ক্লাসে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু তখনও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ক্লাসে ফিরতে পারেনি আশিকুল ইসলাম বিটু।