মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববির (হারাইমাইন শরিফাইন) তিনজন ইমাম-খতিবকে ধর্মবিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করায় সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হারামাইন শরিফাইনের ওয়েবসাইটে এই খবর দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইমামরা হলেন মসজিদে হারামের শায়খ ইয়াসির আদ দাওসারি, মসজিদে নববির শায়খ আহমদ আল হুজাইফি ও শায়খ খালেদ আল মুহান্না। এই তিনজনই প্রায় তিন সপ্তাহ যাবৎ ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন না। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
হারামাইনে ইমাম-খতিব নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালে একটি নতুন নীতিমালা গ্রহণ করা হয়। সেই নীতিমালায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কাজের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চার বছর। চার বছর পর তাদের চুক্তি পুনরায় নবায়ন করার নিয়ম বাধ্যতামূলক। তবে সংশ্লিষ্ট প্রেসিডেন্সি বিভাগ ইমামদের সাময়িক অব্যাহতির বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। আবার একেবারে অস্বীকারও করেনি।
নতুন নীতিমালায় হারামাইনে ইমাম হওয়ার জন্য সৌদি আরবের নাগরিক হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাফেজে কোরআন হওয়া, অভিজ্ঞতা থাকা, ভালো ও স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বরে অধিকারী হওয়া এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক।
হারামাইনের ইমাম-খতিবরা অনুমতি ছাড়া কোনো অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে পারেন না, বিদেশ ভ্রমণের আগেও তাদের অনুমতি নিতে হয়; এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তাদের নানা ধরনের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়।
মসজিদে হারামের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা তাদের দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে কিংবা চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।
হারামাইনের মসজিদ বিষয়ক প্রেসিডেন্সিকে এই বছরের শুরুতে আলাদা দুটি সংস্থায় পৃথক করা হয় এবং ধর্মবিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মবিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় গত বছর মসজিদে হারামের সাবেক ইমাম ও খতিব শায়খ শুরাইম তার চুক্তি পুনরায় নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অবসরে চলে যাওয়ার পর। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শায়খ শুরাইম চুক্তি নবায়ন না করে অবসরে যান।