‘মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্ত্রী বানাইয়াছে’—আবদুর রহমান বয়াতির এই গানটি নিশ্চয়ই শুনেছ। মানবদেহকে ঘড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এই গানে। তুমি কি জানো, তোমার হাতঘড়িটি যেমন করে সকাল কয়টা বাজে কিংবা রাত কয়টা বাজে জানিয়ে দিচ্ছে, ঠিক তেমন করেই তোমার দেহের ভেতরে এমন একটি ঘড়ি আছে, যেটি তোমাকে সূর্য ডুবে অন্ধকার হলে নিদ্রায় আচ্ছন্ন করে ফেলছে আবার ভোরের আলো ফুটলে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলছে? মানুষের মধ্যে এক ধরনের দেহঘড়ি বা সার্কাডিয়ান ছন্দ আছে, যা বাহ্যিক উদ্দীপনা ও আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মানুষের মতো বিভিন্ন প্রাণীর দেহেও রয়েছে দেহঘড়ি, এমনকি গাছেরও।
দেহঘড়ি শুধু সালোকসংশ্লেষণ ও প্রস্বেদনকেই নিয়ন্ত্রণ করে, তা নয়। এটি গাছের বৃদ্ধি, অভিযোজন, এনজাইমের ক্রিয়া, হরমোনের নিঃসরণ, পরাগায়ণ, পাতার নড়াচড়া, ফুল ফোটা, ফুলের সুবাস ছড়ানো ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু আলো নয়, তাপমাত্রাও গাছের দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণে উদ্দীপনা জুগিয়ে থাকে।