মহান আল্লাহ নবী সুলাইমান (আ.)-কে বিশেষ ক্ষমতা ও রাজত্ব দান করেছিলেন। ফলে তিনি পশুপাখির কথা বুঝতেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। পবিত্র কোরআনে সুলাইমান (আ.)-এর সঙ্গে পিঁপড়ার কথোপকথনের বিবরণ এসেছে। কোরআনের ‘নামল’ বা পিঁপড়া নামের সুরায় সেই ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তারা পিপীলিকা অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকা বাহিনী! তোমরা তোমাদের ঘরে প্রবেশ কোরো, যেন সুলাইমান এবং তার বাহিনী তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পদতলে পিষে না ফেলে। সুলাইমান তার উক্তিতে মৃদু হেসে বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি সৎকাজ করতে পারি, যা তুমি পছন্দ করো এবং তোমার অনুগ্রহে আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল কোরো।’ (সুরা : নামল, আয়াত : ১৮-১৯)
বর্তমান ইসরাইলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনি ভূমি আশকেলনকে সুলাইমান (আ.) ও পিঁপড়ার কথোপকথনের স্থান বলে দাবি করা হয়। বিশেষত ইহুদি পণ্ডিতরা এই স্থানেই সুলাইমান (আ.) পিঁপড়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে দাবি করা হয়।
বর্তমানে আশকেলন আধুনিক শহর হলেও এখানে এখনো প্রাচীন বহু নিদর্শন টিকে আছে।
ছবি ও তথ্য : মাদায়েন প্রজেক্ট