দরুদ শরিফ পাঠে সব বিপদ-আপদ দূরীভূত হয়। মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। দেহ রোগমুক্ত থাকে। স্বাস্থ্য অটুট হয়। হায়াত বৃদ্ধি পায়। যাবতীয় অভাব-অভিযোগ মোচন হয়। ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণসহ দ্বীন-দুনিয়ার উদ্দেশ্য হাসিল হয়।
প্রিয় নবি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার ওপর দশটি রহমত অবতীর্ণ করবেন’।
ইমাম কস্তুলানি (রা.) যিনি সহিহ বোখারির শরাহ লিখেছেন, তার প্রসিদ্ধ মাওয়াহেবে লুদুন্নিয়া নামক কিতাবে তিনি একটি চমৎকার হাদিস নকল করেন তা হলো, একবার রাসূল (সা.) মসজিদে নববিতে বসেছিলেন।
এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে রাসূল (সা.)-কে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কী চিন্তা করছেন? রাসূল (সা.) বললেন, ‘আমার উম্মতের চিন্তা করছি, কীভাবে তাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে নেওয়া যায়। এ কথা শুনে প্রথম ফেরেশতা আজরাইল (আ.) বললেন, ‘আপনার ওই উম্মত, যে সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করবে, আমি মৃত্যুর সময় তার জান, সম্মান ও ইজ্জতের সঙ্গে সহজে কবজ করব।
দ্বিতীয় ফেরেশতা ইসরাফিল (আ.) বললেন, আপনার যে উম্মত সকাল-সন্ধ্যা দশবার করে আপনার ওপর দরুদ ও সালাম পাঠাবে, আমি তার জন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের নিচে সেজদারত অবস্থায় তার জন্য গুনাহ মাফির প্রার্থনা করব এবং প্রার্থনা কবুল না হওয়া পর্যন্ত সেজদা থেকে মাথা তুলব না।
তৃতীয় ফেরেশতা মিকাইল (আ.) বললেন, আপনার যে উম্মত সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম জানাবে, আমি হাশরের ময়দানে তাকে নিজ হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করাব।
চতুর্থ ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) রাসূল (সা.)-এর বাহু ধরে বললেন, অনুরূপ দরুদ পাঠকারীকে আমি এভাবে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌঁছে দেব।