চাকরির সুবিধা : আপনি যদি উবারের মতো কোনো সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফি দিতে হবে না। আবার অ্যাপ থেকে যে পরিমাণ টাকা আয় হবে, তার বেশির ভাগ অংশই তিনি পাবেন। অর্থাৎ এই ধরনের সার্ভিসে কাজ করলে আপনার রাস্তায় কাটানো সময়েও টাকা পাবেন। এমনকি আপনি ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকলেও আপনার ভাড়া বাড়তে থাকবে। ড্রাইভার হতে হলে নুন্যতম অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হবে। শুধুমাত্র ড্রাইভিং-এ ভালো ও দিকনির্দেশনায় দক্ষ থাকা দরকার। শহরের রাস্তাঘাট ভালো চেনাজানা না থাকে, সেক্ষেত্রে এই অ্যাপগুলোতেই সরাসরি অনলাইন নেভিগেশন সিস্টেম দেওয়া থাকে। এতে করে গন্তব্য যেটাই হোক না কেন, অ্যাপ থেকেই আপনি ধাপে ধাপে দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবেন।
চাকরির ক্ষেত্র : উবার কিংবা পাঠাও কারস-এর মতো সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে চান, তাহলে প্রথমে শুধু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে আপনার সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এভাবে আপনি চাকরির জন্য প্রস্তুত হলেন। বিডি জবস, বিক্রয় জবস, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সহজেই ড্রাইভারের চাকরি পেতে পারেন।
উপার্জন : আপনি যদি প্রাইভেট ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে উপার্জনের আশা করতে পারবেন। যদি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের কাজ করতে চান, তাহলে উপার্জনের পরিমাণ নির্ভর করবে কী পরিমাণ ট্রিপ নিতে পারবেন এবং প্রত্যেক ট্রিপে কী পরিমাণ সময় লাগছে তার ওপর।
ড্রাইভারের যোগ্যতা : আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে। এছাড়াও নতুন ট্রাফিক আইন ও বিধি অনুযায়ী সব কাগজপত্র আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। আপনি তুলনামূলক নমনীয় ও পরিবর্তনযোগ্য রুটিনে কাজ করতে চান এবং অনিয়মিত উপার্জন হলেও আপত্তি না থাকে, তাহলে আপনার জন্য রাইড শেয়ারিং অ্যাপই হবে সেরা অপশন। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত ও নির্ধারিত পরিমাণ বেতন পেতে চান এবং বাঁধাধরা রুটিনে কাজ করতে সমস্যা না থাকে, তাহলে প্রাইভেট ড্রাইভারের চাকরিই আপনার জন্য উপযুক্ত।