কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্যের সৌরভ লাভ করতে পারে। ইসলামের দৃষ্টি কোরআন তিলাওয়াত একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়, এর (কোরআন) দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদের সরল পথে পরিচালিত করেন।(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৬)
(সুরা : তাওবা, আয়াত : ১২৪)
ব্যস্ত জীবনে কোরআন চর্চার উপায় : আধুনিক জীবনব্যবস্থায় মানুষ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি ব্যস্ত। ফলে বহু মানুষের কোরআন তিলাওয়াত ও কোরআনের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও তারা তা অর্জন করতে পারে।
ব্যস্ততার মধ্যেও কিভাবে কোরআন চর্চা করা যায় সে বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হলো।
৩. পঁাচ ওয়াক্তে ২৫ মিনিট : পঁাচ ওয়াক্ত নামাজের আগে বা পরে যদি পঁাচ মিনিট করে কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তবে দৈনিক পঁাচ থেকে আট পৃষ্ঠা কোরআন তিলাওয়াত করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনেও কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে তিন ওয়াক্ত নামাজের পর তিলাওয়াত করা হলো এবং বাকি দুই ওয়াক্তের এক ওয়াক্তে ৫ থেকে ১০টি আয়াতের অর্থ এবং অপর ওয়াক্তে এক থেকে তিনটি আয়াতে ব্যাখ্যা পাঠ করা হলো।
৫. ঘুমের আগে ১০ মিনিট : ঘুমের সময় অজু করে ঘুমানো মুস্তাহাব। বিশুদ্ধ হাদিসে ঘুমানোর আগে ইখলাস, ফালাক, নাস, মুলক ইত্যাদি সুরা পাঠ করার কথা এসেছে। তবে যারা সারা দিন কোরআন তিলাওয়াতের সুযোগ পায় না, তারা রাতে ঘুমানোর আগে উল্লিখিত সুরার সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্যান্য সুরাও তিলাওয়াত করে নিতে পারে।
৬. নামাজে তিলাওয়াত : যারা কোরআনে হাফেজ, কিন্তু নিয়মিত তিলাওয়াতের সুযোগ হয় না, তাঁরা পঁাচ ওয়াক্তের ফরজ ও সুন্নত নামাজে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে তিলাওয়াত করতে পারেন। যাঁরা হাফেজ নন, কিন্তু কোরআনের বিভিন্ন অংশ মুখস্থ করেছেন, তাঁরাও তা ঠিক রাখতে ধারাবাহিকভাবে নামাজে তিলাওয়াত করতে পারেন।
৭. কর্মস্থলে কোরআন শরিফ: কখনো কখনো কর্মস্থলে অল্প সময়ের জন্য হলেও অবসর মেলে। তখন করার মতো ঠিক কোনো কাজ থাকে না। টুকরা টুকরা এসব অবসরেও কোরআন চর্চা করা যেতে পারে। এ জন্য কর্মস্থলেও একটি কোরআন শরিফ বা এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ রাখা যেতে পারে।
আল্লাহ সবাইকে কোরআন চর্চায় মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।