‘কাভি কাভি জিতনে কে লিয়ে কুছ হারনা ভি পড়তা হ্যায় অউর হার কার জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর ক্যাহতে হ্যায়।’ বলিউডের অন্যতম ব্লকবাস্টার বাজিগরের জনপ্রিয় সংলাপ এটি। রবিবার সিনেমাটির তিন দশক পূর্তিতে সংলাপটি যেন আবার ফিরে এলো। নব্বই দশকে হলিউডের ‘আ কিস বিফোর ডায়িং’-এর অনুপ্রেরণায় সিনেমাটি লিখেছিলেন রবিন ভাট, আকাশ খুরানা ও জাভেদ সিদ্দিকী, যা যৌথভাবে পরিচালনা করেন দুই ভাই আব্বাস-মাস্তান।
অজয় শর্মা ও ভিকি মালহোত্রার চরিত্রে অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, অনিল কাপুর এমনকি সালমান খানকেও ভাবা হয়। চরিত্রটি নেতিবাচক হওয়ায় তারা সিনেমাটি ফিরিয়ে দেন। যদিও বাজিগরের আদল কিছুটা হলেও বদলে দেন সালমান এবং তার বাবা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান।
তারা পরিচালককে বলেন, গল্পে মা চরিত্র যুক্ত করতে। এতে নায়কের প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়টি একটি ভিত্তি পাবে। দর্শক তার পাশে থাকবে। আব্বাস-মাস্তান প্রথম দিকে তাদের কথায় রাজি হননি। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পাল্টান। কিন্তু তার আগেই শাহরুখ সিনেমাটির জন্য চূড়ান্ত হন।
আবার যখন বাজিগর নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছিল তখন ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়িকা ছিলেন শ্রীদেবী। তাই দুই বোন সীমা ও প্রিয়ার চরিত্রে শ্রীদেবীকেই চেয়েছিলেন পরিচালকরা। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্তও পাল্টাতে হয়। শাহরুখ তখন মাত্র একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পর্দায় তিনি শীর্ষ নায়িকাকে হত্যা করলে দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করবে না এমনটাই ভেবেছিলেন আব্বাস-মাস্তান। তারা অপেক্ষাকৃত নতুন কাজল ও শিল্পা শেঠিকে দুই বোনের চরিত্রে চূড়ান্ত করেন।
অবশ্য সিনেমা মুক্তির পর বোঝা যায় আব্বাস-মাস্তানের প্রতিটি সিদ্ধান্ত কাজে লেগেছে। বাজিগর দিয়েই প্রথমবারের মতো সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান শাহরুখ। শুধু তা-ই নয়, সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতার পর শাহরুখ দেখতে পান অনুষ্ঠানে তার দুই পরিচালক নেই। তিনি মধ্যরাতে আব্বাস-মাস্তানদের বাড়িতে হাজির হন। তখন রমজান মাস চলছে। শাহরুখ তাদের সঙ্গে সাহরি খান এবং বলেন, আপনাদের সিনেমায় কাজ করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছি আপনাদের দোয়া ছাড়া কীভাবে বাড়ি যাব?
অন্যদিকে সে সময় বাজিগরের গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তিন চিত্রনাট্যকার, গায়ক কুমার শানু ছাড়াও সংগীত পরিচালক আনু মালিকও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।