অ্যালার্জিক রাইনাইটিস নাকের এক ধরনের প্রদাহ। ইমিউন সিস্টেম যখন বাতাসে ভাসতে থাকা অ্যালার্জেনের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন এই প্রদাহ হয়। এই অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে পরাগ, ধূলিকণা, পোষা প্রাণীর লোম থাকতে পারে। নাক ও চোখকে প্রভাবিত করা বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস শনাক্ত করা হয়।
হাঁচি : বিশেষ করে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার পর অ্যালার্জিক রাইনাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায়ই ঘন ঘন হাঁচি হয়। নাকে অত্যধিক শ্লেষ্মা তৈরি হয়ে নাক বন্ধ হতে পারে। এতে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
চোখ জ্বালা করা : চোখ চুলকাতে পারে।
গলা বা কানে চুলকানি : গলা ও কানেও চুলকানি হতে পারে। এতে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।
ক্লান্তি : অ্যালার্জেনের দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শে ক্লান্তি বোধ হতে পারে, কারণ শরীর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় শক্তি ব্যয় করে।
অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলুন : লক্ষণগুলোকে ট্রিগার করে এমন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ শনাক্ত করুন এবং সেগুলো এড়িয়ে চলুন। সুস্থ থাকতে চাইলে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। ঘর বা অফিসের ডেস্ক পরিষ্কার রাখুন। শুষ্ক ঋতুতে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা : বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরুন।
লেপ, কম্বল ও বালিশে অ্যালার্জেনপ্রুফ কাভার ব্যবহার করেও ধূলিকণার সংস্পর্শ এড়াতে পারেন।
গড়ে তুলুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : খাদ্য তালিকায় রাখুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার। বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাক-সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
চিকিৎসা
অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ গ্রহণ করে এবং নাকের স্প্রে ব্যবহার করে অ্যালার্জির প্রকোপ কমানো যেতে পারে। এই ওষুধগুলো অ্যালার্জির উপসর্গগুলোকে (হাঁচি, চুলকানি ও চোখ জ্বালা করা) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জেনের প্রতি ইমিউন সিস্টেমকে সংবেদনশীল করতে অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি (সাধারণত অ্যালার্জি শট নামে পরিচিত) ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গগুলো দীর্ঘদিনেও ভালো না হলে চিকিৎসাকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মুহিত মুকতাদির
অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর
এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট
দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।