গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের নতুন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শনিবার এই প্রচেষ্টা শুরু হয়।
এদিকে হামাস গাজায় আরো ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্যবাহী প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে এসে পৌঁছেছে।
ইসরায়েল বলেছে, সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে নতুন দফার আলোচনার জন্যে তারা কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
এদিকে ইসরায়েল রাফায় সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েও অগ্রসর হচ্ছে। গাজায় গত পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধের কারণে অধিকাংশ বাস্তুচ্যুতরা এই রাফাতেই আশ্রয় নিয়েছে। ফলে জনাকীর্ণ রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল তাদের সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছে।
‘দ্য ইউএস চ্যারিটি ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ বলেছে, তাদের দল গাজা উপকূলে পৌঁছানো দু’শো টন খাদ্য খালাসের কাজ শেষ করেছে। সাইপ্রাস থেকে নৌপথে এটিই গাজায় পাঠানো প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ।
তারা এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, জাহাজের সকল মালই খালাস করে তা বিতরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তবে জাতিসংঘ উত্তর গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণে সুনির্দিষ্ট সমস্যার কথা তুলে ধরেছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলী হামলা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মধ্যস্থতাকারীরা গত বেশ কিছুদিন ধরেই জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু উভয় পক্ষের মতপার্থক্যের কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না।
শুক্রবার পর্যন্ত হামাসের জোর দাবি ছিল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহার ছাড়া কোন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে না।
কিন্তু এখন তারা বলছে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিকালে ইসরায়েলী বাহিনীকে গাজার সকল শহর ও জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। এছাড়া হামাসের প্রস্তাবে গাজায় আরো ত্রাণ সরবরাহেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলছে, এর মানে এটি হবে হামাসের বিজয়।