ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চতুর্থ রাউন্ডে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
তামিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ৮ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে এবং সাকিবের বোলিং নৈপুন্যে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৪০ রানে হারিয়েছে সিটি ক্লাবকে।
আগের রাতের বৃষ্টির কারনে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠ ভেজা থাকায় ৩৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয় প্রাইম ব্যাংক ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচটি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩১ দশমিক ১ ওভারে ১৩২ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ৪৬ বলে ৩টি চারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আসাদুল্লাহ আল গালিব।
প্রাইম ব্যাংকের নাজমুল অপু ৩টি, আশিকুর জামান ও অলক কাপালি ২টি করে উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংককে ১১৮ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। নিজের ৩৫তম জন্মদিনে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করে শেষ পর্যন্ত ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৮ বলে ৬৭ রান করেন তামিম। ৫০ রানের ইনিংসে ৩টি চার মারেন ইমন।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বিশাল চৌধুরি ৬ ও নাইম ইসলাম ৮ রান করে প্রাইম ব্যাংকের জয় নিশ্চিত করেন।
৪ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে প্রাইম ব্যাংক।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠও ভেজা থাকার কারনে শেখ জামাল ও সিটি ক্লাবের ম্যাচটি ৩৪ ওভারে নির্ধারিত হয়। ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারায় শেখ জামাল। তিন নম্বরে নেমে ১৪ বলে ২টি চারে ১৯ রান করেন সর্বশেষ বিপিএলের পর মাঠে নামা সাকিব।
পঞ্চম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে শেখ জামালকে ৩৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলি।
৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৭৮ রান নিয়ে ইয়াসি আউট হলেও, ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬০ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
২১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শেখ জামালের বোলারদের সামনে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি সিটি ক্লাব। ৩৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান করে ম্যাচ হারে তারা। দলের পক্ষে শাহরিয়ার কমল ৩৮ ও সাদিকুর রহমান ৩৫ রান করেন।
ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে না পারলে বল হাতে ৭ ওভারে ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন শেখ জামালের সাকিব। তার সাথে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন মন্ডল।
৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে শেখ জামাল।