ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রান ও কর্ম সংস্থা রোববার বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে সাহায্য বিতরণে ইসরায়েল আবারো বাধা দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন দুর্ভিক্ষের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।
এজেন্সির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এক্স-এ বলেন, ‘আমাদের ট্র্যাজেডির আশঙ্কা সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, ইউএনডব্লিউআর-এর কোনো খাদ্যবাহী গাড়ি বহর প্রবেশের অনুমোদন দিবে না।
‘তিনি বলেন, মনুষ্য সৃষ্ট এক দুর্ভিক্ষ চলাকালে জীবন রক্ষাকারী সহায়তাকে ইচ্ছাকৃত বাধা প্রদান উদ্বেগজনক।’
তবে লাজারিনির বিবৃতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য এএফপি’র অনুরোধে রোববার ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
খবর এএফপি’র।
ইউএনআরডব্লিউএ’র যোগাযোগ পরিচালক জুলিয়েট তোমা এএফপি’কে বলেন, রোববার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ইসরায়েল গত সপ্তাহে উত্তরে খাদ্যবাহী গাড়ি বহর অনুপ্রবেশে লিখিতভাবে দুইবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তোমা জানান, তবে তাদের সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাসের নজিরবিহীন হামলার কারণে প্রায় ছয় মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে গাজা ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সতর্ক করে যে, জরুরি হস্তক্ষেপ না করা হলে মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
তোমা বলেন, ২৯ জানুয়ারি থেকে ইউএনডব্লিউআর উত্তরে খাদ্য সরবরাহ করতে পারেনি। সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি যুদ্ধের কবলে পড়া মরিয়া গাজাবাসীদের প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়ার প্রচেষ্টার কফিনে আরেকটি পেরেক ঠুকে দেওয়া।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় অফিসের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস রোববার এক্স-এ ইউএনআরডব্লিউএ-কে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাতে না পারার কারণকে সংস্থাটি নিজেদেরব্যর্থতা বলে অভিহিত করেন। তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, উত্তরে সংস্থাটির খাদ্য বহর অবরোধ করার সিদ্ধান্ত হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি ঠেলে দেবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস এক্স-এ বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ’র সহায়তা বিতরণে বাধা দেওয়া ‘আসলে ক্ষুধার্ত মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে অস্বীকার করা।’