গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা রোববার কায়রোয় পুনরায় শুরু হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা পুনরায় শুরুর সবুজ সংকেত দেয়ার একদিন পর কায়রোয় বৈঠকটি শুরু হতে যাচ্ছে।
মিসরের আল কাহেরা সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার আল কাহেরার খবরে বলা হয়েছে, মিসরের নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে কাল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হবে।
এর আগে মিসর, কাতার ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকদফা আলোচনা চলে। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্যে ইসরায়েল ও হামাস একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছে।
দোহা ও কায়রোয় নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়ে নেতানিয়াহু শুক্রবার অনুমোদন দেন। এর আগে তিনি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে তাদের মাঝে কি আলোচনা হয়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ইসরায়েলের বৃহত্তম শহরে শনিবার প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তারা গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। একইসঙ্গে তারা সরকারের যুদ্ধ পরিচালনারও সমালোচনা করে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এই জিম্মি মুক্তির বিষয়। ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি আলোচকেরা ।
গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫০জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এর মধ্যে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখনও ১৩০ জিম্মি গাজায় আটক এবং এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েল ধারনা করছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে বলেছে, নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।