এবার টাঙ্গাইল-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে বগুড়ায় সাসেক্স সড়ক সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন আজ রোববার। সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উত্তরবঙ্গে কতটুকু স্বস্তিদায়ক হবে সে ব্যাপারে তারা জানান, মহাসড়ক এবার উন্মুক্ত থাকবে এবং অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক হবে। সর্বত্র পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সতর্ক থাকবে।
সাসেক্স সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এর অধিনে টাঙ্গাইল- রংপুর ফোরে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানালেন- প্রকল্পের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক জয় প্রকাশ চৌধুরী। তিনি জানান, ঈদে এই মহাসড়ক দিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। তবে কিছু-কিছু স্থানে সমস্যা আছে সেগুলো ৬ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন না হলে কিছু অংশে সমাধান সম্ভব। আমাদের এই প্রকল্পের সংঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন তারা সবাই ঈদযাত্রার কথা মাথায় রেখে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
তিনি জানান- টাঙ্গাইল থেকে রংপুর পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৯টি ওভার পাস ও্র আন্ডার পাসে আছে। এর মধ্যে ১৬ টি আছে বগুড়া অংশের মধ্যে। এরমধ্যে প্রায় ১৬টি আন্ডারপাস খুলে দেয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এবার সম্মিলতভাবে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, বগুড়া চান্দাইকোন থেকে বগুড়ার রহবল পর্যন্ত মহাসড়ক পরিদর্শন করেছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে যে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন তাতে এইটুকু মনে হয় সড়ক উন্মক্ত থাকবে। তিনি বলেন- বগুড়া অংশের যানজটে ১০টি স্থানে যানজটের ¯ৃষ্টি সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে ২/১ দিনে মধ্যে চারটি স্পটের সমস্যা সমাধান হওয়ার আশা করছেন।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ঈদের আগে মহাসড়কে ট্রাক, অটো রিক্সা ,থ্রি-হুইলার, যন্ত্রচালিত রিকশাভ্যান চলাচলের উপর কড়া দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে পুলিশ ছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, মহাসড়কের পাশে থানাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ট্রাকের ব্যাপারে সরকারি যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা পুরোপুরি পালন করবো। চান্দইকোনা থেকে মোকামতলা পর্যন্ত মহসড়কে চারটি ভাগে ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বগুড়ার লিচুতলা মোকামলা, মাটি ডালি,মোকমতলা ও ধুনট মোড়ে চারটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। সেখান থেকে যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া অবৈধ যানবাহন সিএনজি থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য যে লেন নির্ধারিত আছ তা সম্পূর্ণ না হওয়ায় কিছু সমস্য আছে। সে ব্যাপারেও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করা যায় ঈদযাত্রার ভোগান্তি কমে যাবে।