নিন্ম, নিম্ম মধ্যবৃত্ত ও মধ্যবৃত্তের ডাল-ভাত নিশ্চিত করতে আজ গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় কালেক্টরেট বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন। সব শ্রেণিপেশার মানুষ চাইলে প্রতিদিনই সেখান থেকে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার জেলার ৫টি উপজেলায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এসব বাজারের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
এই বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা, চাল ৫৪ টাকা, মসুর ডাল ১০৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১১৫ টাকা, চিনি ১৪২ টাকা, লবণ ৩৮ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১৭০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা, সরিষার তেল ১৬৫ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৮/৯ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বাজার থেকে একজন ব্যক্তি ৫শ’ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২ কজি গরুর মাংস, ৫ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি রসুন, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ব্রয়লার মুরগী, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ লিটার সরিষার তেল, ১ কেজি লবন ও ১ ডজন ডিম কিনতে পারবেন।
সেখান থেকে কমদামে পণ্য কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রিক্সা চালক সোমলেম উদ্দিন (৫৫), ফেরীওয়ালা আওলাদ হোসেন মিয়া (৫৭), ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া (৩৫), চাকরিজিবি শেখ ফরহাদ হোসেন (৪৫) বলেন, জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের প্রতিদিনের ডাল-ভাত নিশ্চিত করেছে। এখান থেকে নিয়মিত বাজার করতে পারলে অন্তত ২০% সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি পরিবার পরিজনের মুখে কমমূল্যে মানসম্মত ভালো খাবার তুলে দিতে পারব। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। সে দামে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে কলেক্টরেট বাজার চালু করা হয়েছে। এখান থেকে কম মূল্যে মানসম্মত পণ্য কিনে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। ভালো সাড়া পেলে প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে কালেক্টরেট বাজার স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।