মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভ্যর্থনাপ্রাপ্ত হলেও, অন্যত্র নেতাদের কাছে স্বৈরাচারী হিসেবে সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প, সমালোচনা এড়িয়ে ক্রমান্বয়েই তার কূটনৈতিক তৎপরতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনবিরোধী ভাবমূর্তি গড়ে তোলায় মনযোগী হচ্ছেন। বাইডেনের বিদেশী নীতির কিছু শীর্ষ অগ্রাধিকার বাদ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে, রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন দেশে ও বিদেশে বিশ্বস্ত মুখের সন্ধানে, তাদের আস্থা অর্জনের উদ্দেশে ঘুরে ফিরছেন এই রিপাবলিকান নেতা। খবর এএফপি’র।
ট্রাম্পের সমর্থকরা কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা আটকে রেখেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সহায়তা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্প এটাও জোর দিয়ে বলছেন যে, বাইডেনের ‘দুর্বলতা’ ইরানকে ইসরায়েলের উপর আক্রমণ চালাতে প্ররোচিত করেছে।
রক্ষণশীল পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি ‘কাল্পনিক সম্প্রদায়’ বলে অভিহিত করে বলেন, “আমরা সেখান থেকে খুব বেশি কিছু অর্জন করি না।” তিনি বুধবার ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ারে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন। ট্রাম্পের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক ভিডিও ক্লিপে ডুদার পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। দুজন একই সময়ে প্রেসিডেন্ট থাকার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “তিনি আমার বন্ধু, আমরা একসাথে চারটি বছর কাটিয়েছি।”
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন, একবার ট্রাম্পকে “সংরক্ষনবাদী, জেনোফোবিক, মিসজিনিস্টিক” বলে নিন্দা করেছিলেন। তিনিও সম্প্রতি রিপাবলিকানদের বাড়ি ‘মার-এ-লাগো’তে তার সাথে খাবার খান।
মার্চ মাসে ট্রাম্প হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে পান। জাতীয়তাবাদী ভিক্টর অরবান আমেরিকানদের কাছে অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দীর্ঘ সময় ধরে চাপ সৃষ্টি করেন। সিএনবিসি-তে কথা বলার সময়, ট্রাম্প অরবানকে একজন “কঠোর মানুষ” অভিহিত করে “ ট্রাম্প ফিরে আসলে আমরা বিশ্বের সমস্যার সমাধান করব” বলেও তার বক্তব্যের প্রশংসা করেন।