শ্রোতারা স্তব্ধ। মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি হচ্ছে। সেই আবৃত্তি শুনে কাঁদতে দেখা গেল শ্রোতাদের। শেষ হলে চোখে জল নিয়ে তাঁরাই দিয়ে উঠলেন মুহুর্মুহু করতালি। যার আবৃত্তিতে মানুষের চোখে জল, যার আবৃত্তিতে সবাই মুগ্ধ—সেই আবৃত্তিকারের নাম তাসনিম তাবাচ্ছুম লামিয়া।
ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম তাবাচ্ছুম লামিয়া। আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন, হামদ-নাত ও সংগীত পরিবেশনে তার জুড়ি নেই। এটুকু বয়সে কৃতিত্বের জন্য অন্তত ৩৬টি সনদ উঠেছে তার হাতে।
মা-বাবার ইচ্ছায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় লামিয়া জীবনে প্রথম আবৃত্তি করতে মঞ্চে উঠেছিল ২০১৫ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে। সেবার ছড়া, আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে নিজের বিভাগে প্রথম হয় সে। সেই অনুষ্ঠানে পুরস্কার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়েছিল লামিয়া।
২০১৬-১৭ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছিল লামিয়া। তারপর ২০১৯, ২০২১ ও ২০২২ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কারে প্রথম স্থানসহ বিভিন্ন পুরস্কার পায় সে। ২০২৩ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতায় জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় আর উপজেলায় প্রথম স্থান লাভ করে লামিয়া।
লামিয়ার বাবা মো. মিজানুর রহমান (অব.) সেনাসদস্য এবং মা রুমা আক্তার। তাঁরা ঝিকরগাছা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা। লামিয়া দুই বোনের মধ্যে ছোট। বড় হয়ে সে বাবার মতো সেনা কর্মকর্তা হতে চায়।