গাজায় সাহায্যপণ্য বিতরণ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার জর্ডান যাচ্ছেন। তিনি সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সময় সাহায্যের জন্য যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রিয়াদে উপসাগরীয় আরব নেতাদের সাথে আলোচনার পর ব্লিঙ্কেন আম্মানে যান, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার পর, এটি তার এই অঞ্চলে সপ্তম সফরের অংশ। খবর এএফপি’র।
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক ব্লিঙ্কেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির পাশাপাশি গাজায় জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগের সঙ্গে দেখা করবেন। দিনের শেষে, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে সর্বশেষ আলোচনার জন্য ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলে যাবেন।
হামাসের বিরুদ্ধে নিরলস অভিযানে ইসরায়েলকে সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ঘিরে বিদেশে ও মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় সমালোচনা ও ক্ষোভ বৃদ্ধি সত্ত্বেও মিত্রের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার রিয়াদে উপসাগরীয় আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মানবিক দুর্ভোগ, বেসামরিক ক্ষতি আরও ভালভাবে মোকাবেলায় ও গাজায় ত্রাণ কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সুনির্দিষ্ট, দৃঢ় ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইসরায়েলকে চাপ দিবে। আমরা গত কয়েক সপ্তাহে গাজার মধ্যে ত্রাণ সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ক্রসিং খোলাসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অগ্রগতি দেখেছি। আগামী সপ্তাহগুলিতে মার্কিন সামুদ্রিক করিডোর খোলা হবে। তবে অগ্রগতি যথেষ্ট নয়। গাজা ও এর আশেপাশে আরও সাহায্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
১ এপ্রিল ইসরায়েলি হামলায় সেলিব্রিটি স্প্যানিশ-আমেরিকান শেফ জোসে আন্দ্রেস প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন সাহায্য কর্মী নিহত হওয়ার পর ভবিষ্যত সমর্থন ঝুঁকি সম্পর্কে বাইডেন ইসরায়েলকে সতর্ক করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েল এর পর থেকে গাজায় কাজ করা সাহায্য গোষ্ঠীগুলির সাথে আরও সরাসরি সমন্বয়সহ ভবিষ্যতে এই ধরনের মৃত্যু এড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু গাজায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রয়ে গেছে। সেখানে অধিকাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং জাতিসংঘ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছে।
জর্ডানের সাথে ইসরায়েল ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে মারাত্মক বিমান হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জর্ডান ইসরায়েলে গুলি চালানো ইরানি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে।