বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সমিত ঘোষ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের দক্ষ নেতৃত্বে বাজুস শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। লালমনিরহাট শহরের কালীবাড়ি রোডে খান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে বাজুস লালমনিরহাট জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সমিত ঘোষ বলেন, বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের কারণে বাজুসকে এখন মডেল হিসেবে দেখছে বিশ্ববাসী। দেশের স্বর্ণ ব্যবসা বিশ্বের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। দেশেও সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে বাজুস। তাই এখন দেশের সব জেলা ও উপজেলার ব্যবসায়ীদের এক কাতারে আসা উচিত। তবেই মর্যাদা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা করা সম্ভব হবে। অবৈধ কোনো ব্যবসায়ীকে বাজুস সমর্থন করে না। দেশব্যাপী অবৈধ ব্যবসায়ীদের তালিকা হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তাই সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বৈধভাবে ব্যবসা করে বাজুসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের নির্দেশে দেশের সব ব্যবসায়ীকে স্বর্ণের মান ঠিক রেখে সততার সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে ব্যবসা করতে হবে। এতে সবার কল্যাণ হবে, সংগঠনের সম্মান বাড়বে। পাশাপাশি দেশের সুনাম বিশ্বের কাছে আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাজুস লালমনিরহাট জেলা কমিটির সভাপতি হিমাংসু সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম লাভলু, বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ছালাম, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং কমিটির সদস্য এনামুল হক সোহেল, লালমনিরহাট জেলা শাখার সম্পাদক দুলাল কর্মকার, আদিতমারী উপজেলা শাখার সম্পাদক সন্তোষ কুমার রায় প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-সংক্রান্ত এবং সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানান। এ সময় বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা তা শোনেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।