ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
সালাম অর্থ কারও জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করা। সালাম ইসলামের নিদর্শন। ইসলামে যেসব উত্তম ও কল্যাণকর কাজ রয়েছে, এর মধ্যে সালাম আদান-প্রদান একটি। হাদিসে বর্ণিত আছে, একদিন এক সাহাবি মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইসলামের মধ্যে সর্বোত্তম কাজ কোনটি?’
তিনি জবাবে বললেন, ‘অন্যকে খাদ্য দেওয়া এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (মিশকাত)। সালাম আদান-প্রদানের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রচলন করো।’ (মিশকাত)
সবার সঙ্গে সালাম বিনিময় করা ও চেনা-অচেনার মাঝে সালাম দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও অপরিচিতি এবং গায়রে মাহরাম বা যাদের সঙ্গে বিয়ে হালাল এমন নারীরা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে মাহরাম বা যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম এমন নারীকে সর্বাবস্থায় সালাম দেওয়ার বৈধতা রয়েছে। ইসলামি আইনবিদদের মতে, গায়রে মাহরাম নারীদের সঙ্গে বিনা প্রয়োজনে সালাম আদান-প্রদান করা যাবে না। যেমন পথ চলার সময় কোনো অপরিচিত রমণীর সঙ্গে দেখা হলে তাদের সালাম দেওয়ার বৈধতা নেই। এমনকি অপরিচিত বা গায়রে মাহরাম নারীও সালাম দিলে তার উত্তর সজোরে দেওয়া যাবে না। তবে আওয়াজ ছাড়া উত্তর দেওয়া যাবে।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে কোনো নারীর সঙ্গে দেখা করতে হয় অথবা তার সঙ্গে দাপ্তরিক কাজ থাকে, তবে সাধ্যমতো পর্দা রক্ষা করে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ অবস্থায় সালামের মাধ্যমে কথা শুরু করাই উত্তম। (রদ্দুল মুহতার)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কথা বলার আগেই সালাম দিতে হবে।’ (মিশকাত) টেলিফোন বা মোবাইলে যদি কোনো নারীর সঙ্গে কথা বলতে হয়, সে ক্ষেত্রেও সালাম দিয়ে শুরু করাই বাঞ্ছনীয়।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়