অর্থভুবন ডেস্ক |
প্রতিবেশী দেশগুলো, পরিবেশবাদী সংগঠন সবার আপত্তি উপেক্ষা করে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা শুরু করেছে জাপান। এখন সাগরে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর শঙ্কায় চরম আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের সাধারণ মানুষ। কারণ দেশগুলোর সিফুড এবং লবণের জোগান আসে এই সাগর থেকেই। তাই জাপান ফুকুশিমার পানি সাগরে ছাড়ায় আতঙ্কের ঢেউ লেগেছে চীনের বাজারে। রাতারাতি টান পড়েছে দেশটির লবণের বাজারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপান তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার দিন থেকেই চীনে অনলাইন মাধ্যমসহ সব পর্যায়ের দোকানে লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। লবণের জোগান নিশ্চিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। রাজধানী বেইজিং এবং অন্যতম বড় শহর সাংহাইসহ আরও কিছু এলাকা লবণশূন্য হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে চীনের বৃহত্তম লবণ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
রয়টার্স জানায়, বেইজিংয়ের দৃঢ় বিরোধিতা সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে জাপান প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি নিঃসরণ শুরু করার পরে চীনে বিভিন্ন এলাকায় লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে বেশি বেশি লবণ না কিনতে লোকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীনের বৃহত্তম লবণ উৎপাদনকারী গ্রুপ। বিশ্বের বৃহত্তম সাধারণ লবণ উৎপাদক হচ্ছে চীনের রাষ্ট্র-চালিত ন্যাশনাল সল্ট ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ। ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি জাপান সাগরে ছাড়তে শুরু করার কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া এক বিবৃতিতে চীনের রাষ্ট্র-চালিত এই সংস্থা বলেছে, চীনের কিছু অংশে মানুষ লবণ মজুদ করতে ছুটে আসায় তারা বাজারে লবণের সরবরাহ আরও বাড়াচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা লবণ উৎপাদন, বিতরণ এবং বাজার সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ওভারটাইম কাজ করছি। অনুগ্রহ করে যৌক্তিকভাবে কিনুন এবং অন্ধের মতো আতঙ্কিত হয়ে কিনবেন না।’ রয়টার্স বলছে, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজধানী বেইজিং এবং অন্যতম বৃহত্তম শহর সাংহাইসহ চীনের বেশ কিছু জায়গায় সুপারমার্কেটগুলোতে লবণের তাক খালি হয়ে গেছে। এমনকি অনলাইন বিক্রয় প্ল্যাটফর্মগুলোতেও মজুদ শেষের কথা জানিয়ে লবণ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সতর্কতা হিসেবে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সিফুড আমদানিকারক চীন ইতিমধ্যে জাপান থেকে সিফুড আমদানি নিষিদ্ধ করেছে