Saturday, December 7, 2024

মুরগি-ছাগলের খামার তৈরিতেও অনিয়ম রায়পুরে

অর্থভুবন  

বেকার সমস্যার সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘উপকূলীয় সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শুরু হয়েছে মুরগি ও ছাগল পালন কার্যক্রম। এ কাজের মুরগি ও ছাগল পালনের অস্থায়ী ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তার পছন্দমতো ঠিকাদার দিয়ে উপকারভোগীদের ঘর নিম্নমানের ইট ও রেন্ডি কাঠ দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। উপকারভোগীদের দিয়ে করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে নিম্নমানের কাঠ-টিন ও ইট দিয়ে। এ ধরনের অভিযোগ পেয়েও জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের তদারকি করছেন না। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন উপকারভোগীরা। এর আগে জুন-২৩ ক্লজিংয়ের কথা বলে ২০ জুন ৯০ জন খামারির কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দস্তখত নেয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। এর প্রতিবাদে খামারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে শান্ত হন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্ক্যাভেজিং পোলট্রি পালনের জন্য লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মুরগি পালন কার্যক্রম চালু করার জন্য রায়পুরের চরমোহনা, উত্তর চরআবাবিল ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নে ৩০টি দল গঠন করা হয়। প্রতি দলে ৩০ জন সদস্য নিয়ে ৩টি ইউনিয়ন থেকে ৯০০ উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। একজন উপকারভোগীর জন্য রয়েছে অস্থায়ী একটি মুরগি পালনের ঘর, ১৩টি মুরগি, দুটি মোরগ, খাদ্য-ওষুধসহ উপকরণ সামগ্রী। এরই মধ্যে উপকারভোগীদের মাঝে মুরগি ও ছাগল পালনের জন্য অস্থায়ী ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মুরগি পালনের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তার শুভাকাক্সক্ষী চরআবাবিল ইউনিয়নের আলমগীর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু ঠিকাদার সিডিউল অনুযায়ী সেগুনকাঠ না দিয়ে রেন্ডি কাঠ দিচ্ছে এবং ইট ও টিনও নিম্নমানের। মুরগি ও ছাগলের ঘর নির্মাণে অনিয়ম হলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কোনো রকম তদারকি করছেন না। ‘উপকূলীয় অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্পের উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের মাঠকর্মী আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ৩০ জনকে মুরগি পালনের জন্য ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো ঘরের মালপত্র দিচ্ছেন। আর কিছু জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন। বেশি কথা বললে চাকরি থাকবে না আমার। অভিযোগ স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলমগীর এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মুরগি ও ছাগল পালনের জন্য ৯০টি ঘর তৈরি করে দেব। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে আসেন। তখন আপনার সঙ্গে কথা বলব। রিপোর্ট লেখার দরকার নাই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘মুরগি ও ছাগল পালনের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে তিন ইউনিয়নের ৯০ জন উপকারভোগীর মাঝে ঘর দেওয়া হচ্ছে। তখন জুন ক্লোজিংয়ের কারণে উপকারভোগীদের দস্তখত নেওয়া আমাদের ভুল ছিল। নিম্নমানের ঘর করার ব্যাপারে অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

spot_imgspot_img

ছবিটা তুলে রাখুন ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে : ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...

মায়ের ঘুমপাড়ানি সুর শান্তিধারা

আমাদের জোনাকজ্বলা গ্রাম বিদ্যুৎ তখনও দেখেনি। সন্ধ্যার কাছে বিকেল নতজানু হতেই সবুজ পাহাড়েরা মিশকালো হয়ে যায়। ফলে- আমরা চালের ফুটো দিয়ে চাঁদ দেখি, আর...

মাহবুবা ফারজানা নতুন তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম মাহবুবা ফারজানা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন। তাকে সচিব পদে পদোন্নতি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here