অর্থভুবন ডেস্ক
পিঠ ও কোমার ব্যথায় ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছে। অফিসে একটানা বসে কাজ করে কোমর ও পিঠের ব্যথা নিত্যসঙ্গী অনেকেরই। শোয়া বা বসার ভঙ্গির কারণেও অনেকের কোমর ও পিঠে ব্যথা দেখা দেয়। বয়সের কারণেও অনেকের কোমর ও পিঠে ব্যথা হয়। ব্যায়াম, ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি রোজকার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই কোমর ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পিঠ ও কোমরের ব্যথায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। মাছ, আমন্ড, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিডের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। অলিভ অয়েল এবং সরিষার তেলেও থাকে এই অ্যাসিড। নিয়মিত এসব খাবার খেলে হাড়ও মজবুত হবে এবং ব্যথা কমবে সহজেই।
আমাদের রান্নাঘরে থাকা অনেক মসলাই শারীরিক এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। আদা, রসুন, দারুচিনি ও মরিচের মতো মসলায় থাকে ইন্টিফ্লেমেনটারি বৈশিষ্ট্য, যা কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে পারে।
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক এক ধরনের যৌগ, যা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কার্যকর।
শরীরে প্রোটিনের অভাবেও ব্যথা-যন্ত্রণা দেখা দেয়। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। মাছ, ডিম, দুধ, আমন্ড, পনির, মসুর ডালের মতো খাবার বেশি করে খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে পেশির বিকাশ ঘটে এবং কোমর ও পিঠে ব্যথার সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজি রাখুন প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায়। এগুলো ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ, যা শারীরিক প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শাকসবজিতে সালফোরাফেন নামক যৌগও রয়েছে, যা জয়েন্টে ব্যথা কমাতে কার্যকর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গাজর, বিট এবং কুমড়ার মতো সবজিও হাঁটু ও কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।