আমজাদ ইউনুস
সলাম আত্মিক ও দৈহিক সুস্থ সমাজ নির্মাণে উৎসাহ দেয়। এ কারণেই শারীরিক ও মানসিকভাবে মুমিনদের সুস্থ থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিকল্প নেই। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকেই ইসলাম উৎসাহিত করেছে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় সবল মুমিন বেশি কল্যাণকর এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।’ (মুসলিম)
ইসলাম যেভাবে সুস্থতার নিয়ামতকে গুরুত্ব দেয়, তেমনি অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহ দেয়। রাসুল (সা.) নিজে ওষুধ গ্রহণ করেছেন, চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তাঁর উম্মতকে তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। উসামা ইবনে শরিক (রা.) বর্ণনা করেন, সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা কি ওষুধ ব্যবহার করব?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। হে আল্লাহর বান্দাগণ, চিকিৎসা করো। কেননা বার্ধক্যের রোগ ছাড়া আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার নিরাময় নাই।’ (তিরমিজি)
রাসুল (সা.) শুধু চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহ দেননি, বরং ভালো চিকিৎসা বা ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেও নির্দেশ দিয়েছেন। জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি রোগের ওষুধ রয়েছে। সুতরাং সঠিক ওষুধ যখন রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়, তখন আল্লাহ তাআলার হুকুমে রোগী রোগমুক্ত হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
মাঝেমধ্যে রাসুল (সা.) বিভিন্ন রোগের নিরাময়ের পদ্ধতিও বাতলে দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে—শিঙা লাগানো, মধু পান করা ও তপ্ত লোহা দিয়ে দাগ দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে দাগ দিতে নিষেধ করেছি।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক