দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে তাতে বলা আছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত এক বছরে সাক্ষরতার হার ১.৪২ শতাংশ বেড়েছে।
২০২২ সালের জনশুমারির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জাতীয়ভাবে সাক্ষর পুরুষের হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং সাক্ষর নারী ৭২.৮২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘প্রায়োগিক সাক্ষরতা জরিপ ২০২৩’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১৯.৯৯ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক সংজ্ঞানুযায়ী সাক্ষরতা হচ্ছে পড়া, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে ও লেখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচরণ ও প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষরতার সংজ্ঞা, ধারণা, প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে।
২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছিল। মানুষ একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। কিন্তু সব লক্ষ্যই শতভাগ পূরণ হয় না। লক্ষ্য পূরণে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এই সময়ে না হলেও অচিরেই আমরা লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাব।
আর তাই নিরক্ষর এবং অদক্ষ মানুষকে সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করে আবার মানবসম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই যে সাক্ষরতার হার বাড়ছে, এটাই প্রকৃত উন্নয়ন। এই উন্নয়নই দীর্ঘ মেয়াদে সুফল বয়ে আনবে। জনসংখ্যা যখন জনসম্পদে পরিণত হবে, তখন তার সুফল ভোগ করবে দেশ।