নিজস্ব প্রতিবেদক,অর্থভুবন
পেঁয়াজের বাজারে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিরসনে আমদানির ওপর থাকা ১০ শতাংশ শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে জোর দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। ট্যারিফ কমিশন বলছে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ২৮০-৩০০ ইউএস ডলার। ৪০ শতাংশ বাড়তি শুল্কারোপের কারণে আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৪০০-৪২০ ইউএস ডলারে।
জানা গেছে, পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি এবং ৫ শতাংশ এআইটিসহ মোট ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা রয়েছে। এদিকে গত ১৯ আগস্ট
ভারত স্থানীয় বাজারের সুরক্ষার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানায় ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর আগস্ট থেকে জানুয়ারি সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পায়। পেঁয়াজ আমদানিকারকদের ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ১০ শতাংশ আমদানি কর দিতে হয়।
উপপ্রধান (বাণিজ্য নীতি) মো. মাহমুদুল হাসানের সই করা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত রপ্তানি শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমদানি শুল্ক মওকুফ করাসহ বেসরকারি খাত ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশরের মতো বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহিত করার পরামর্শও দেওয়া হয়।
কমিশন বলছে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হয়। ঘাটতি মেটাতে বাকিটা আমদানি করতে হয়, বিশেষ করে ভারত থেকে।
আমদানি পরিস্থিতি : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের তথ্য বলছে, আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩.৬৫ লাখ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। কিন্তু সরকার ১৩.০৪ লাখ টনের বেশি অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ অনুমতি দেওয়া পেঁয়াজের মাত্র ২৭.৬৪ শতাংশ দেশে এসেছে। গত অর্থবছরে ৭.৪৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।