অর্থভুবন প্রতিবেদক
অনেকেরই ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারও কারও সুগার থাকে বর্ডার লাইনে। তারা প্রতিদিন পেয়ারা খেতে পারেন। প্রতিদিন পেয়ারা খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ১০০ গ্রাম পেয়ারার মধ্যে মাত্র ৮.৯২ গ্রাম চিনি থাকে। আর তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা সকালের নাস্তার পর একটা করে পেয়ারা খান। এখন অল্প বয়সীরাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের দেহের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। যদি এই হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি না হয় বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিসের স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। ওষুধ, খাবার আর শরীরচর্চার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। অনেক রকম ফল, সবজি আছে যা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো পেয়ারা। আমাদের দেশে সারা বছর সুলভে পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারার মধ্যে আছে ফাইবার, ভিটামিন সি। ওষুধের চেয়ে রোজ একটা করে পেয়ারা খেলে অনেক বেশি কাজ হয়। পাশাপাশি পেটও পরিষ্কার থাকে। পেয়ারার মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একদম কম। ফলে সুগার বেড়ে যাওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনাও থাকে না। খাবারের রুচি কমে গেলে, মুখে স্বাদ না থাকলে একটু করে রোজ পেয়ারা খান। এতে মুখের স্বাদ ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি। পেয়ারার মধ্যে যে ফাইবার থাকে তা শরীর সুস্থ রাখতে কাজে আসে। একটা পেয়ারা খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে খিদে কম পায়।
পেয়ারার মধ্যে থাকে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপও ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হজমশক্তি ভালো থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু পেয়ারার মধ্যে ফাইবার বেশি থাকে তাই হজমে সাহায্য করে। পেয়ারার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা যে কোনো ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। আর ভিটামিন-সি থাকে। যে কারণে স্নায়ুর ওপরও চাপ পড়ে না।