Saturday, December 7, 2024

ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার ব্যারিস্টার ফখরুলসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

নিজস্ব প্রতিবেদক,অর্থভুবন 

চুরির মামলায় ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য দুই আসামি হলেন মোহাম্মদ বশির ও ইসমাইল হোসেন। 

 

ব্যারিস্টার ফখরুল মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁস করার মামলার ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তবে ওই মামলায় তিনি আপিলে জামিনে আছেন।

 

অবৈধ অনুপ্রবেশ, মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিকেলে তিনজনকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিমের উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আবেদন ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন এস এম মহিবুল্লাহ মহিউদ্দিন। 
মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মেসির  
৪৮ ভাগ শেয়ারের মালিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পরে এই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী কিছু ব্যক্তি বাদীর প্রতিষ্ঠানটি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার ফখরুলসহ অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ৯ জুলাই ফার্মেসির ক্যাশ থেকে ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও ২ কোটি টাকার ওষুধ নিয়ে যান। বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন ঘটনার সময় তিনি একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমান চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসাকেও আসামি করা হয়।

বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল, আব্দুর রশিদ মোল্লা, মাহাবুব আলম ও শ্রী হরে কৃষ্ণ।  

আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার ও মো. আক্তারুজ্জামান ।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম ব্যারিস্টার ফখরুলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। তার ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের আগে ট্রাইব্যুনালের কর্মচারীদের সহযোগিতায় ফখরুল রায় ফাঁস করেন। বিষয়টি ওই সময় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

spot_imgspot_img

ছবিটা তুলে রাখুন ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে : ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...

মায়ের ঘুমপাড়ানি সুর শান্তিধারা

আমাদের জোনাকজ্বলা গ্রাম বিদ্যুৎ তখনও দেখেনি। সন্ধ্যার কাছে বিকেল নতজানু হতেই সবুজ পাহাড়েরা মিশকালো হয়ে যায়। ফলে- আমরা চালের ফুটো দিয়ে চাঁদ দেখি, আর...

মাহবুবা ফারজানা নতুন তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম মাহবুবা ফারজানা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন। তাকে সচিব পদে পদোন্নতি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here