অর্থভুবন প্রতিবেদক
চুল ও ত্বক সুন্দর করতে প্রতিনিয়ত কত চেষ্টাই না করে থাকেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই চাওয়া পাওয়ার অনেক কিছু থাকে। তার মধ্যে সব থেকে বড় চাওয়া নিজের সৌন্দর্য, আপনার চুল ও ত্বক প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হলেও আপনাকে এর যত্নে অনেক কিছু ভাবতে হয়। যতই ফর্সা হোন না কেন আপনার ত্বকে ন্যাচারাল নিয়মে ডেড সেল পড়বেই। আর তা ঠিকভাবে পরিষ্কার না করতে পারলে একটু একটু করে জমতে জমতে এক সময় অনেক বেশি পরিমাণে জমে গেলেই আপনার ফর্সা ত্বক হয়ে যাবে নির্জীব। তাই প্রতিনিয়তই নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে ভুললে চলবে না চুলের যত্নে উদাসীন হলে তো আরও বড় সমস্যা। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও প্রত্যেক মানুষের চুলের ধরন বিচিত্র। চুল নিয়ে বিষদভাবে চর্চা করলে দেখা যা চুলের সাধারণত তিনটি ধরন আছে। তৈলাক্ত শুষ্ক এবং স্বাভাবিক। ঠিক তদরূপ ত্বকের ও চারটি ধরন আছে। তৈলাক্ত শুষ্ক স্বাভাবিক ও মিশ্র। প্রত্যেকের চুল ও ত্বক যেমন আলাদা হয়। তাই যত্নের ব্যাপারে যদি আমরা বুঝে যত্ন করি তবে আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। অল্প সময় এর মধ্যেই ভালো ফল পাওয়া যাবে। চুল ও ত্বকের সমস্যার প্রধান কারণ দূষিত পরিবেশ, তা ছাড়া পরিচর্যার অভাব, ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়া, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুল ও ত্বকে নানাবিধ পরিবর্তন হয়। তাই শীতের যত্ন ও গরমকালের যত্ন অবশ্যই আলাদা হতে হবে। শীতকাল বা গরমকাল যাই হোক সব থেকে বড় ব্যাপার চুল ও ত্বক ভালো রাখতে হলে ব্লাড সার্কুলেশন ভীষণভাবে জরুরি আপনার ত্বক ও চুল ভালো রাখতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সারা দিনে অন্তত ২০ মিনিট রাখুন ইয়োগা করার জন্য। ইয়োগাতে কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ হয়। ধীরে ধীরে সেগুলোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন এক চা চামচ আলমন্ড অয়েল গরম করে উষ্ণ গরম থাকা অবস্থায় হাত ও পা-এর তালু ম্যাসাজ করুন ধীরে ধীরে প্রেশার দিয়ে ম্যাসাজ করুন। সাধারণত এ ধরনের ম্যাসাজ খালি পেটে করতে হয়। ম্যাসাজ করার পর এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতেই আপনার ত্বক ও চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ব্লাড সার্কুলেশন হবে। আপনার ত্বক ও চুলের যত্নের প্রথম ও প্রধান ধাপ হল এটা। সেই সঙ্গে নিয়মিত ন্যাচারাল জিনিস দিয়ে নিজের যত্ন নিন। ন্যাচারাল জিনিসের ভেতর অন্যতম একটা জিনিস হল অ্যালোভেরা যা দিয়ে আপনার ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্ন ও নিতে পারেন।
ত্বকের যত্নে : ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জুসের সঙ্গে এক চা চামচ টমেটো রস এবং এক চা চামচ মুলতানি মাটি মিলিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে যে কোনো ধরনের ত্বকে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারবেন। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ধোয়ার পর টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করতে ভুলবেন না।
চুলের যত্ন : অ্যালোভেরা জুস আধা কাপ, আমলকী জুস দুই চা চামচ, মধু এক চা চামচ, একটি ডিম ফেটানো। মুলতানি মাটি ২ টেবিল চামচ। সব মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে পরিষ্কার চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে এই মিশ্রণ লাগান। এক ঘণ্টা রেখে মাইন্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনিং করতে হবে না। এই হেয়ার প্যাক আপনার চুলে কন্ডিশনারে কাজ করবে।
বাড়তি যত্ন : সপ্তাহে দু’দিন অয়েল ম্যাসাজ এবং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করতে হবে। তাহলেই আপনার চুল সবসময় সুন্দর থাকবে।