অর্থভুবন ডেস্ক
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। বর্তমানে দেশে ২২ ক্যারটের প্রতি গ্রাম সোনার দাম ৮ হাজার ৬৮০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি ভরি সোনার দাম পড়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৩ টাকা। কিন্তু একই মানের সোনা শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্রাম ছিল ৫৬ দশমিক ৫৩ ডলার। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় যা ৬ হাজার ১৬১ টাকা। এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতি গ্রাম সোনায় দামের পার্থক্য ২ হাজার টাকা। দেশীয় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে সোনার এই একচেটিয়া দাম নিলেও দেখার কেউ নেই। তবে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বলছে ভিন্ন কথা।
সম্প্রতি বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান এমএ হান্নান আজাদ বলেন, ‘সোনা এখন আমদানি হয় না। আমরা রিসাইক্লিং করে যে সোনা পাই এবং হোলসেল মার্কেট থেকে কিনি। এরপর নামমাত্র মুনাফা ধরে দাম নির্ধারণ করা হয়। তাতে আমাদের তেমন কিছুই (লাভ) থাকে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সোনার দুটি টুকরো আনা যেত ৪০ হাজার টাকা ট্যাক্স দিয়ে। এখন একটা টুকরো মানে ১০ ভরি সোনা আনতে ৪০ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। দেশের বাজারে সোনার যে চাহিদা সেই অনুপাতেও আমদানি নেই। এসব কারণেই আন্তর্জাতিক বাজার ও দেশের বাজারে সোনার দামে কিছুটা ব্যবধান রয়েছে। ভালো মানের (২২ ক্যারেটের) এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ১ হাজার ২৪৩ হাজার টাকা। তবে দেশের বাজারে রেকর্ড দাম হলেও বিশ্ববাজারে কমছে। গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার দাম এক শতাংশের বেশি কমেছে। কিন্তু দেশে কমানোর লক্ষণ নেই।
দুই সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫৩ ডলার কমে যায়। এরপর আগস্টের শেষদিকে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২৫ ডলার বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে গত ২৪ আগস্ট দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি বলছে স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। এদিন ২২ ক্যারটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার টাকার ওপরে বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে ওঠে সোনা।